এই ছিল কপালে। দীর্ঘ পথ পার হয়ে অনেক ঝড়ঝাপটা সহ্য করে বাড়ি ফিরেছিলেন ওঁরা। আর নিজের রাজ্যে এসেই যে ওঁদের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হবে তা বোধহয় ওরা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। রাস্তা দাঁড়িয়ে থাকা তিন শ্রমিকের মাথায় লিখে দেওয়া হল 'আমি লকডাউন অমান্য করেছি, আমার থেকে সবাই দূরে থাক'। অভিবাসী শ্রমিকদের চূড়ান্ত অপমান করার অভিযোগল উঠেছে মধ্য প্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে।
মধ্য প্রদেশের পুলিশের এক মহিলা অধিকারিক তিন শ্রমিকের মাথায় লিখছিলেন। যে ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল। যাকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। সরাসরি নিশানা করা হয়েছে মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে। বলা হয়েছে, শিবরাজজি দুটি মাত্র বিকল্প দিয়েছেন। একটি হল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু অন্যটি হল না খেতে পেয়ে মৃত্যু।
তবে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ছে মধ্য প্রদেশ পুলিশ। ছাতারপুরের এসপি জানিয়েছেন চিহ্নিত করা হয়েছে মহিলা আধিকারিককে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ১৪ দিন স্বেচ্ছাবন্দি থাকতে হবে, ঘরে ফেরা অভিবাসীদের নির্দেশ বিহার ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে ভয় পেয়ে রান্নার গ্যাস পেট্রোল ডিজেল মজুত করবেন না, আবেদন ইন্ডিয়ান ওয়েলের
আরও পড়ুনঃ রেহাই নেই দুধের শিশুরও, কর্নাটকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১০ মাসের শিশুও
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ২১ দিনের জন্য লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারপর থেকেই দিশেহারা অবস্থা ভারতে অভিবাসী শ্রমিকদের। বাড়ি ফিরতে মরিয়া শ্রমিকরা সামাজিক দূরত্ব না মেনে চরম বিপদ ডেকে আনছেন নিজের ও সমাজের। কিন্তু সূত্রের খবর মধ্য প্রদেশের চাতারপুরের এই তিন শ্রমিক রীতিমত দূরত্ব বজায় রেখেই বসেছিলেন। উত্তর প্রদেশ থেকে তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন। স্থানীয় প্রশানের নির্দেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের অপেক্ষা করছিলেন। তারপরেও তাঁদের মাথায় লিখে প্রশাসনের তরফ থেকেই লিখে দেওয়া হল তাঁরা নাকি লকডাউন অমান্য করেছেন। একেই বোধহয় বলে অদৃষ্টের পরিহাষ।