এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের, গাছ থেকে হোম কোয়রান্টিনে পুরুলিয়ার সাত যুবক

 

  • এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের
  •  প্রশাসনের উদ্যোগে গাছ থেকে ঘরে
  • চেন্নাই ফেরত সাত যুবককে হোম কোয়রান্টিন
  • আইসিডিএস সেন্টারে হোম কোয়ারান্টিন প্রশাসনের 

Asianet News Bangla | Published : Mar 29, 2020 11:55 AM IST / Updated: Mar 29 2020, 05:30 PM IST

এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের । অবশেষে প্রশাসনের উদ্যোগে চেন্নাই ফেরত সাত যুবককে গাছে থাকা কোয়রান্টিন অবস্থা থেকে নামিয়ে আনা হল। আজকেই তাঁদের গাছ থেকে নামিয়ে গ্রামের একটি আই সি ডি এস সেন্টারে হোম কোয়ারান্টিন করা হয়। তাদের পাশে দাঁড়ালেন বলরামপুর ব্লকের বিডিও ধ্রুবপদ শান্ডিল্য৷ খোদ বিডিও এবং পুলিশ আধিকারিক গিয়ে তাদেরকে গাছ থেকে নামিয়ে আনেন। 

তেহট্টে করোনা আক্রান্তের এলাকায় জীবাণুমুক্ত করবে জেট-স্প্রে, গাড়ি পাঠাচ্ছে কলকাতা পৌরসভা

বিডিও  নিজের উদ্যোগে গ্রামে গিয়ে সাতজন যুবকের জন্য ঐ অঙগনওয়াড়ি কেন্দ্রে আলো,পাখা,টয়লেটের ব্যবস্থা করেন। কোয়রান্টিনদের যাতে জলের কোনও সমস্য়া না হয় তাই জলের  ট্যাংকারও আনানো হয়েছে। পাশপাশি বিডিও খাবারের ব্য়বাস্থা করেছেন ওই সাত জনের। এদিন বিডিও-র সঙ্গে যান বলরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আবীর চন্দ্র। প্রত্যেকের সাথে কথা বলে তাদের শারিরীক অবস্থার খোঁজ নেন তিনি। 

সোমবার থেকে খোলা থাকছে সব ব্যাঙ্ক, লকডাউনে সুবিধা দিতেই সিদ্ধান্ত.

সরকারের এই সহযোগিতার বিষয়ে চেন্নাই ফেরত যুবক বিজয় সিং লায়া জানিয়েছেন, আমরা নিজেরাই গ্রামবাসীদের উদ্যোগে ঐ ভাবে গাছের উপর থাকার জন্য গিয়েছিলাম। তবে বিডিও সাহেব আমাদের সবরকম ব্যাবস্থা করায় আমাদের এখানে সুবিধা হয়েছে।আমরাও আর কয়েকটা দিন এখানেই থাকব।সকলেই বলরামপুরের বিডিও পুলিশ কে ধন্যবাদ জানান।

ঘরে ঢুকলে বিপদে বাড়তে পারে পরিবারের। করোনা আতঙ্কে গাছেই ১৪ দিন আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুরুলিয়ার চেন্নাই ফেরত সাত যুবক। এরা সবাই পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। ডাক্তারের নির্দেশ মেনেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। 

রাজ্য়ের প্রথম করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট নেগেটিভ, ক্রমশ সুস্থ আমলা পুত্র

পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকের গেরুয়া পঞ্চায়েতের ছোট্ট গ্রাম ভাঙিডী।এই গ্রাম থেকেই সাত জন যুবক কয়েকমাস আগে কাজ করতে গিয়ে ছিল চেন্নাইয়ে।তারপর করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা কাজ ছেড়ে নিজেদের গ্রামে ফিরে আসার জন্য ট্রেন চেপে রওয়ানা দেয়।মাঝে হঠাৎ করেই দেশ জুড়ে লক ডাউন হয়ে যাওয়ায় তাঁরা খড়গপুর স্টেশনে এসে আটকে পড়ে।সেখান থেকে কোনরকম করে তাঁরা গাড়ি করে গ্রামে আসেন।ভাঙিডী গ্রামের যুধিষ্ঠীর সিং লায়া জানান সাতজন যুবকের গ্রামে আসার খবর পেয়ে  গাছের ওপর মাচা করে থাকার ব্যবস্থা করি।আমরা এদের খাওয়া স্নান করা সহ অন্যান্য ব্যাবস্থা করে সবরকম সহযোগিতা করছি।

বিমল সিং সর্দার বলেন,গ্রামে ছোট ছোট বাড়ি। আলাদা থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই হাতি তাড়াতে গাছের ওপর যে মাচা বেঁধে থাকা হয়, সেভাবেই থাকা হবে। অন্যান্য গ্রামবাসীরা জানান ১৪ দিন আলাদা করে ঘরে রাখার ব্যবস্থা আমাদের পক্ষে মুশকিল, তাই এই গাছে রাখা ছাড়া কোনও উপাই নেই। চেন্নাই থেকে ফেরা বিজয় সিং লায়া বলেন, চেন্নাই থেকে ফিরে প্রথমে থানায় যাই।সেখান থেকে হাসপাতালে যেতে বলা হয় ১৪ দিন আলাদা থাকতে হবে। কোনও অসুবিধা হলে জানাতে বলেছেন। এর পর গ্রাম ঢোকার আগেই গ্রামবাসীরা বলেন, আমাদের জন্য আলাদা থাকার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সেই মতো আমাদের এই গাছে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

Share this article
click me!