সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে ভয় নেই মিলবে পরিষেবা
- অযোথা আতঙ্কিত হয়ে বুকিং করবে না
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানী মজুত রয়েছে দেশে
- গ্রাহকদের আশ্বস্ত করল ইন্ডিয়াল ওয়েল
বিশ্বের বৃহত্তম শক্তির গ্রাহক হল ভারত। তাই এখনও ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এখনও তাড়াহুড়ো করে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রোল আর ডিজেল মজুত করে ঘরে রাখার প্রয়োজন নেই। ২১ দিনের লকডাউনের মধ্যেও যথাযথ পরিষেবা পাবেন গ্রাহকরা। জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান ওয়েল ওয়েল কর্তৃপক্ষ।
ইন্ডিয়ান ওয়েলের চেয়ারম্যান সঞ্জীব সিং জানিয়েছেন, দেশের প্রতিটি কোনে জ্বালানী পৌঁছে দেওয়ার মত পরিস্থিতি রয়েছে। তাই অযোথা ভয় পেয়ে এলপিজি বুকিং করার কোনও প্রয়োজন নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন। দেশের গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেছেন, এই মুহূর্তে তাদের কাছে মজুত যা জ্বালিনী রয়েছে, তা আগামী এপ্রিল মাস ও তার পরেও সরবরাহ করা যাবে। তাই এখনই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন গ্রাহকদের।
একটি পরিসংখ্যন জানাচ্ছে মার্চ মাস থেকেই কমছে জ্বালানীর চাহিদা। দেশে পুরোপুরি স্থগিত উড়ান পরিষেবা, বন্ধ হয়েগেছে রেল যোগাযোগও। সড়ক পথে যোগাযোগও প্রায় স্তব্ধ। দুচাকা ও চার চাকার গাড়িও কমেছে রাস্তা থেকে। তাই কুড়ি শতাংশ চাহিদা কমেছে ডিজেলের আর পেট্রোলের চাহিদা করেছে আট শতাংশ। এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে সমস্ত গ্রাহককেই উৎসহ দেওয়া হচ্ছে। তবে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্রাণের জন্য চাহিদা ২০০ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আপ বিধায়ক রাঘবের, পাল্টা এফআইআর দায়ের তাঁর নামে
আরও পড়ুনঃ রেহাই নেই দুধের শিশুরও, কর্নাটকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১০ মাসের শিশুও
আরও পড়ুনঃ করোনার কোপে ভারত, দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০২৯
কিন্তু এই চাহিদা নিয়েই উদ্বেগ প্রাশক করেছে ইন্ডিয়ান ওয়েল। সংস্থার পক্ষ খেকে জানান আতঙ্কিত হয়েই বুকিং করতে শুরু করেছেন গ্রাহকরা। যাদের রান্নার গ্যাসের দুটি সিলিন্ডার রয়েছে তাঁরাও বুকিং করে রাখতে শুরু করেছেন। এই প্যাকিং বুকিং-এর জন্য অনেককেই প্রয়োজনীয় সিলিন্ডার সরবরাহ করা যায়নি। তাই দেশের সমস্ত গ্রাহককে আশ্বস্ত করে তাঁরা বলেছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানী মজুত রয়েছে। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে, দেশে তরল জ্বালানীর চাহিদা কম থাকায় রিফাইনারি রান রেট ও ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যার অর্থ ইতিমধ্যেই পেট্রোল, ডিজেল, নেফথা ও এলপিজির উৎপাদন প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।