ভারতীয় বংশোদ্ভূর রবীন্দ্র গুপ্ত কেমব্রিজ ইনস্টিটিউট ফর থেরাপিউটিক ইমিউনোলজি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের ক্লিনিক্যাল মাইক্রবোয়োলজির অধ্যাপক। তিনি ওমিক্রনের ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে একটি গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বিশ্বের সর্বপ্রথম কোষের পরিবর্তিন ফিউশন প্রক্রিয়ার বর্ণানা দিয়েছেন। যার কথায় এই প্রক্রিয়া ওমিক্রনকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ওমিক্রনের (Omicron) সংক্রমণ নিয়ে আবারও সতর্ক করল বিশ্বেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের কথায় বর্তমানে অনেকেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাতের মধ্যে রোগের তীব্রতা অনেকটাই কবে। তবে এটি যে খুব একটা সুখের নয়, তা নিয়েও সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, ওমিক্রনের তীব্রতা হ্রাস একটি 'বিবর্তনীয় ভুল'। এর অর্থ হল কোভিড ১৯ (Covid 19) খুব জোরালো আক্রমণের জন্য তৈরি হচ্ছে। এটিকে হালকাভাবে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যাসয়ের শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী।
ভারতীয় বংশোদ্ভূর রবীন্দ্র গুপ্ত কেমব্রিজ ইনস্টিটিউট ফর থেরাপিউটিক ইমিউনোলজি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের ক্লিনিক্যাল মাইক্রবোয়োলজির অধ্যাপক। তিনি ওমিক্রনের ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে একটি গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বিশ্বের সর্বপ্রথম কোষের পরিবর্তিন ফিউশন প্রক্রিয়ার বর্ণানা দিয়েছেন। যার কথায় এই প্রক্রিয়া ওমিক্রনকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বিজ্ঞানীর কথায় সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার নতুন এই রূপ ব্রিটেনে অনেকবেশি প্রভাব বিস্তার করেছে। এখন এটি ভারতে পা রেখেছে। ভারতের বিভিন্ন অংশ দেখা গেছে ফুসফুসে পাওয়া কোষগুলিকে এটি ডেল্টার তুলনায় অনেক কম সংক্রমিত করছে। করোনার এই রূপটি নিজে হালকা হতে রাজি নয়। তিনি মনে করছেন এই ভাইরাসগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়তে পারে। এটিকে দীর্ঘমেয়াদী প্রবণতা বলেও তিনি বর্ণনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন সার্স কোভ২ নিয়ে এখন আর কোনও সমস্যা নেই। কারণ এটি খুব দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এটির হালকা হওয়ার কোনও কারণ তিনি এখনও দেখনি। টিকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোভিডকে হালকাভাবে না নিতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ভাইরাসটি যে তার জীবন পরিবর্তন করতে চাইছে- এটি এখনও পরিলক্ষিত হয়নি।
তিনি রীতিমত আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ওমিক্রনের এই কম তীব্রতার কারণে পরবর্তী যে রূপটি আসবে সেটি আবার রোগের তীব্রতা বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি ওমিক্রন থেকেও যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর গবেষণা অনুযায়ী ওমিক্রন ফুসফুসের গভীরে টিস্যু ও উপরে স্বাসনালী বা ব্রঙ্কাসে প্রভাব বিস্তার করে। একটি নির্দিষ্ট প্রোটিন বা এনজাইমের উপস্থিতির জন্য ফুসফুসের কোষের ওপর থাকে। যা ভাইরাসটিকেএকটি কার্যকর সংক্রমণে সম্পূর্ণ বাধা দেয়। তাই ওমিক্রন সেই পথে না গিয়ে শ্বাসনালীকেই প্রভাব বিস্তার করে। তাই করোনার অন্যান্য রূপগুলির তুলনায় এটির সংক্রমণ তুলনামুলক হালকা।
তিনি আরও বলেছেন ভারতের সামনে ওমিক্রন বিপদ রয়েছে। তাই এখন থেকেই ইউরোপ ও আমেরিকার পদক্ষেপগুলি লক্ষ্য করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা জরুরি। টিকা নেওয়ার ওপরেও জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে বলেছেন ভারতে এখনও পর্যন্ত বুস্টার ডোজশুরু হয়নি। তারই আগের করোনাভাইারসের টিকার দুটি ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
Covid 19 3rd Wave: ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই কোভিড তৃতীয় তরঙ্গে দেশে, সতর্ক করল বিশেষজ্ঞরা
Omicron Threat: ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে আপাতত মিছিলে 'না', সংক্রমণ রুখতে কড়া কমিশন
'প্রধানমন্ত্রী মোদী পঞ্জাবে সম্পূর্ণ নিরাপদ', নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে জোরালো দাবি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর