কমিশনের আরও জানিয়েছে, যারা দুর্ণীতি দেখছে, বা ছবি তুলতে পারে তারা সিভিজিলআইএল অ্যাপে তার আপলোড করতেও পারবেন। সেই সঙ্গে রিপোর্টও জানাতে পারবে। নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছে,পাঁচ রাজ্যে ভোটে মদ ও মাদকের ব্যবহারের ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কমিশন যে দুর্ণীতি মেনে নেবে না তা এদিন স্পষ্ট করে জানিয়েছে দিয়েছে।
উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, গোয়া, মণিপুর, উত্তরাণ্ড- পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের (5 State Assembly Election) নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। একই সঙ্গে জানিয়েছে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনী দুর্ণীতি মোকাবিলাও কমিশনের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনের সময় দুর্ণীতি মোকাবিলার জন্য নির্বাচন কমিশন সিভিজিল অ্যাপ্লিকেশন (cVIGIL App) ব্যবহার করবে বলেও জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান সুশীল চন্দ্র। আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন, অর্থ বিতরণ, অর্থের টোপ দিয়ে ভোট কেনা - কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রয়োজনে ভোট ভোটাররা সিভিজিল অ্যাপলিকেশনটি ব্যবহার করতে পারবে। যে কোনও অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট করার মাত্রা ১০০ মিনিটের মধ্যেই কমিশনের কর্মকর্তারা অপরাধের জায়গায় পৌঁছে যাবেন। তারাই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবেন।
কমিশনের আরও জানিয়েছে, যারা দুর্ণীতি দেখছে, বা ছবি তুলতে পারে তারা সিভিজিলআইএল অ্যাপে তার আপলোড করতেও পারবেন। সেই সঙ্গে রিপোর্টও জানাতে পারবে। নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছে,পাঁচ রাজ্যে ভোটে মদ ও মাদকের ব্যবহারের ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কমিশন যে দুর্ণীতি মেনে নেবে না তা এদিন স্পষ্ট করে জানিয়েছে দিয়েছে।
সিভিজিল অ্যাপ্লিকেশনঃ
এটি একটি সহজ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন। এটি নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পরই ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির মাধ্যে যে কোনও ফোটো ও ভিডিও আপলোড করে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান যেতে পারে। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে একজন সাধারণ নারগিক ছবি তুলে বা ২ মিনিটের একটি ভিডিও শ্যুট করে তা আপলোড করতে পারে। এটি যখন আপলোড করা হয়, তখনই জিপিআরএস সিস্টেমের দ্বারা এটি সঠিক অবস্থার ম্যাপিং করে। তাই সংশ্লিষ্ট নাগরিক ছবি বা ভিডিও নিয়ে রিপোর্ট করলে তা জেলা কন্ট্রোলরুমে পাঠানোর পরই সঠিক জায়গা চিহ্নিত করতে সমস্যায় পড়তে হয় না নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের।
কোনও নাগরিক অভিযোগ জানালে তথ্যটি জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা কন্ট্রোলরুমে যায়। সেখানে থাকে একটি ফিল্ড ইউনিট। ফিল্ড ইউনিট ফ্লাইং স্কোয়াড, স্ট্যাটিক সার্ভিলেন্স টিম, রিডার্ভ টিম নিতে তৈরি করা হয়। প্রতিটি ফিল্ড ইউনিটে সিভিজিল ইনভেস্টিগেটর নামে একটি জিআইএস ভিত্তিক মোকাবিল অ্যাপ্লকেশন থাকে। যা ফিল্ড ইউনিটকে জিআইএসর মাধ্যমে নেভিগেশন প্রযুক্তি অনুসরণ করে সরাসরি অবস্থানে পৌঁছাতে ও পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে। তবে সিভিজিল অ্যাপ সেই সব রাজ্য কার্যকর যেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বা নির্বাচনি আচরণবিধি লাগু হয়েছে।
Omicron Threat: ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে আপাতত মিছিলে 'না', সংক্রমণ রুখতে কড়া কমিশন
Covid 19 3rd Wave: ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই কোভিড তৃতীয় তরঙ্গে দেশে, সতর্ক করল বিশেষজ্ঞরা