দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষণকরা ওমিক্রন ও ও এইচআইভি উৎপত্তির মধ্যে একটি যোগাযোগ সূত্র নিয়ে গবেষণা করছেন। বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ওমিক্রনের সঙ্গে এইচআইভি-র যোগাযোগ অত্যান্ত যুক্তিযুক্ত বলে দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা মনে করছেন।
গোটা বিশ্বের কাছে কোভিড-১৯- (COVID-19)এর নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron) একটি ত্রাসে পরিণত হয়েছে। এই স্ট্রেইন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তারপর থেকে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। বর্তমানে এই স্ট্রেইন নিয়ে গবেষেণাও চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ওমিক্রনের সঙ্গে এইচআইভি (HIV)বা হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্স ভাইরাসের সংযোগ থাকতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষণকরা ওমিক্রন ও ও এইচআইভি উৎপত্তির মধ্যে একটি যোগাযোগ সূত্র নিয়ে গবেষণা করছেন। বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ওমিক্রনের সঙ্গে এইচআইভি-র যোগাযোগ অত্যান্ত যুক্তিযুক্ত বলে দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা মনে করছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা প্রথম জিনোম ক্র্যাক করতে পরেছিলেন। তাতে মনে করা হচ্ছে ওমিক্রন প্রথম একজন এইচআইভি রোগীর মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিল। সেই ব্যক্তি এই রোগের চিকিৎসা মাঝপথেই ছেড়ে দিয়েছিল বা একবারও ওষুধ খায়নি।
ইতিমধ্যে দেখা গেছে দুর্বল বা দীর্ঘদিন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছাড়তে বেশি সময় লাগে। এটি ভাইরাসকে বিস্তৃত জৈবিক ক্রায়াকলাপের মাধ্যমে মানবদেহের কার্যাবলীর সঙ্গে নিজেকে পুনরায় মানিয়ে নিতে আরও সয়ম দেয়। অন্য যে কোনও ভাইরাসের মতেই এটি দীর্ঘকাল বাঁচতে ও মৃত্যুকে বিলম্বিত করতে চায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিলিপির মাধ্যমে প্রজনন ঘটে। এটি সাধরণ জৈবিক ঘটনা যার মাধ্যমে ভাইরাসের একটি স্ট্র্যান্ড নিজের অনুলিপি তৈরি করে । এটি সার্স কোভ-২, ওমিক্রন বা তারই মত ডেল্টা, গামা, বিটা , আলফার ক্ষেত্রে মানুষের কোষে সীমাবদ্ধ থাকে।
এইচআইভি একটি সার্সকোভ-২এর মিউটেশনের জন্য একজন মানুষের দেহকে পুরোপুরি উপযোগী করে তুলতে পারে। যা ওমিক্রনের মত নতুন রূপগুলিকে ফেলে দিতে পারে। ডায়াবেটিস বা ক্যান্সারের মত অন্যান্য মেডিক্যাল কন্ডিশনে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নতুন রূপের উদ্ভবের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বের মানচিত্রে এইচআইভি-র রাজধানী হিসেবে পরিচিত। ২০২০ সালে ইউনাইটেড নেশনের এইডস রিপোর্টে বলা হয়েছে ১৮-৪৫ বছর বসয়ীদের এই দেশে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন আক্রান্ত। একটি বড় সমস্যা হল ৩০ শতাংশেরও বেশি এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি গ্রহণ করেন না। এই ওষুধটি এইচআইভি রোগীর ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করে। চলতি মাসের শুরুতে মেডিক্যাল নিউজ টুডেতে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ব্রিটিশ গবেষক বলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় এইচআইভি-র উচ্চ প্রকোপ ওমিক্রন বৈকল্পিকের বিবর্তনের কারণ হতে পারে। এইচআইভি আক্রান্তরা, তাদের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে- সেই বিষয়েও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের ইমিউন সিস্টেম কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শরীর থেকে ভাইরাসের কার্যকারীতা রুখে দিতে পারে। যাইহোক এই অক্ষমতা শুধুমাত্র এইচআইভি সংক্রমণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অন্য যে কোনও রেগের ক্ষেত্রেও এটি হতে পারে।
এইচআইভির সঙ্গে ওমিক্রনের সংযোগের তত্ত্বটি আরও গুরুত্বপেয়েছে ব্রিটেনের একটি গবেষণায়। চিকিৎসক পেম্পের দল সম্প্রতী শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের মধ্যে বেশকিছু মিউটেশন দেখেছেন। মনে করা হচ্ছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই মিউটেশন ঘটেছে। আলফার দ্রুত বিস্তার একটি ইমিউনোকম্প্রোমাইজড ব্যক্তির সঙ্গে শুরু হয়েছিল।
ওমিক্রনের উৎপত্তির পিছনে এইচআইভি সংযোগের তত্ত্ব পরীক্ষা করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকদের একটি দল এইচআইবির একটি প্রকৌশলী সংস্করণ তৈরি করেছে । যাতে এটি সিউডোভাইরাস কণা হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
পাঞ্জাব সেক্টরে রাখা হয়েছে রাশিয়ার S-400 Missile, কিন্তু কেন জানেন কী
Omicron Infection: ওমিক্রনের 'কালো' ছায়া দেশের ১২ রাজ্যে, আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল
COVID Third Wave: নতুন বছরে ওমিক্রনের হাত ধরেই ভারতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ, ছবি তুলে ধরলেন বিশেষজ্ঞ