রাজ্যসভার (Rajya Sabha) শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session) থেকে সাসপেন্ড করা হল ডেরেক ও'ব্রায়েনকে (Derek O'Brien)। বিরোধী সাংসদদের পাশে পেলেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ।
মঙ্গলবার রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে (Derek O'Brien) শীতকালীন অধিবেশনের (Winter Session) বাকি অংশে আর তিনি অংশ নিতে পারবেন না। রাজ্যসভায় নিয়ম বিরুদ্ধ আচরণের জন্যই তাঁকে সাসপেন্ড করা হল বলে জানিয়েছেন সংসদের উচ্চ কক্ষের সভাপতি।
তার আগে, মঙ্গলবার সংসদ কক্ষে বিশৃঙ্খলার কারণে নির্বাচনী আইন পরিবর্তনের বিষয়ে একটি বিল পাসের জন্য ভোটের অনুমতি নাকচ করে দিয়েছিলেন রাজ্যসভার সভাপতি। তারপরই ক্ষোভে ডেরেক ও'ব্রায়েন সাংবাদিকদের ডেস্কে রাজ্যসভার নিয়মাবলীর বই নিক্ষেপ করেন। এই কারণেই তৃণমূল সাংসদ'কে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ডেরেক তাঁর পাশে পেয়েছেন বিরোধী সাংসদদের। সরকার পক্ষ, সংসদ কক্ষে ডেরেকের ওই আচরণের নিন্দা করলে বিরোধীরা একযোগে ওয়াকআউট করে।
সাসপেন্ড হওয়ার পর টুইট করে ডেরেক বলেছেন, শেষবার তাঁকে যখন রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি আইন (Farm Laws 2020) চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তারপর এক বছর ধরে টালবাহানার পর, মোদী সরকারকে সেই আইন প্রত্যাহার করতে হয়েছে। চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই সেই কাজ করেছে সরকার। এবার যখন তাঁকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে, সেই সময় বিজেপি নির্বাচনী আইন বিল ২০২১ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ডেরেকের আশা, এই বিলটিও শীঘ্রই বাতিল হবে।
চলতি অধিবেশনে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো রাজ্যসভা থেকে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করা হল। এর আগে শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই, বর্তমান অধিবেশনের অবশিষ্ট অংশের জন্য কংগ্রেসের ফুলন দেবী নেতাম, ছায়া ভার্মা, আর বোরা, রাজামণি প্যাটেল, সৈয়দ নাসির হুসেন, অখিলেশ প্রসাদ সিং, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, অনিল দেশাই, তৃণমূলের দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, সিপিএম-এর এলামারাম করিম এবং সিপিআইয়ের বিনয় বিশ্বম - এই ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। রাজ্যসভার বাদল অধিবেশনে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
পরে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের চিফ হুইপ জয়রাম রমেশ বলেন, এদিন রাজ্যসভায় নির্বাচনী তালিকা-আধার বিল সংযোগকারী বিলটি একটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর জন্য বিরোধীরা প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিরও অনুমতি দেননি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। বিরোধীরা প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে। জয়রাম রমেশের মতে, কৃষি বিলের মতো, এই বিলটিও অগণতান্ত্রিকভাবে পাস করা হয়েছে।