করোনাকালে কোপ মিষ্টি ব্যবসায় । জামাইষষ্ঠীর সময় ব্যবসা কমলো পঁচিশ শতাংশ। গতবছরের মত এ বছরও করোনা সংক্রমনের কারণে রাজ্যে চলছে লকডাউন প্রক্রিয়া। অন্যান্য ব্যবসার মতন নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে মিষ্টির দোকান খোলা ও বন্ধ করার। স্বাভাবিকভাবে তাতে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে মিষ্টি প্রস্তুতকারকদের ।
বুধবার থেকে কলকাতায় চালু হচ্ছে বাস পরিষেবা, বাসকর্মীদের হাজিরার নির্দেশ
তবু তাদের আশা ছিল, সামান্য হলেও জামাইষষ্ঠীর মরসুমে কিছুটা ভালো ব্যবসা হবে তাদের । সেই মত করে জামাইষষ্ঠীর জন্য বিশেষ মিষ্টির ডালা সাজিয়ে ছিল মিষ্টি বিক্রেতারা। তবে করোনাকালে সেভাবে ব্যবসা হলো না তাঁদের । নিয়ম রক্ষার জন্য ক্রেতারা নামমাত্র মিষ্টি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দোকান থেকে। তাঁরা জানাচ্ছেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িতে আত্মীয় স্বজনদের আনাগোনা এই মুহূর্তে কম। জামাইরাও করোনা কালে আসতে চাইছেন না সংক্রমনের ভয়ে।
সুন্দর সকালের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে পুরুলিয়া, করোনা ছুঁতে পারেনি ৮০টি গ্রামকে
তাই সব মিলিয়ে জামাইষষ্ঠীতে যে ব্যবসাটা আর পাঁচটা বছর হয়ে থাকে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের, তা এ বছর পঁচিশ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে। সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাজ্যে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ১৬ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ। তবে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Weather Update : আগামী তিনদিন ধরে বৃষ্টি চলবে জেলায়, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে
বেলা ১২ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে রেস্তরাঁ, বার, হোটেল। সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে শপিং মল। তবে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ গ্রাহককে মলে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার, মুদির দোকান ইত্যাদি। এ ছাড়া সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত অন্য দোকান খোলা থাকবে।