আমরা অসহায়। একটুই বলতে পেরেছিলেন। তারপর তাঁর দুটে চোখের পাতাই ভিজে উঠেছিল জলে। তিনি বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের চিকিৎসক ত্রিপত্তি গিলিয়াদ। করোনাভাইরাসের মহামারির ভয়ঙ্কর ছবিটা তিনি খুবই সামনে থেকে দেখছেন। আর সেই কারণেই ভয়ঙ্কর ছবি যাতে আমাকে আর আপনাকে দেখতে না হয় তার জন্য বাড়িতে বার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাস্ক পরতে বলছেন তিনি। চিকিৎসক ত্রিপোত্তির এই ভিডিওটি মহামারির এই ভয়ঙ্কর সময় নিমেষের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।
করোনার থাবা মমতার মালদার জনসভা, সভায় থাকবেন না মৌসম ও দুলাল ...
কী বলেছেন ছিলেন ত্রিপোলি?
মুম্বইয়ের সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, দিনে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর সেই কারণেই চাপ বাড়ছে হাসপাতালগুলিতে। ধীরে ধীরে কমছে শয্যার সংখ্যা। অক্সিজেনও চাহিদা বাড়ছে। আর সেই কারণেই তিনি জানিয়েছেন বাড়ির বাইরে বার হওয়ার আগে মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি। আর মাস্ক পরতে হবে এমন ভাবে যাতে নাক ও মুখ খুব ভালোভাবে ঢাকা থাকে। মাত্র পাঁচ মিনিটের ভিডিওটিতে পরিষ্কার হয়ে গেছে মুম্বইয়ের কোভিডের ভয়ঙ্কর অবস্থাটা।
দেখে নিন ভাইরাল ভিডিওটি
লকডাউন নিয়ে বার্তা নরেন্দ্র মোদীর, দেখে নিন জাতির উদ্দেশ্যে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী ...
ত্রিপোত্তি বলেছেন, এত অসহায় আগে কখনও অনুভব করেননি তিনি। যাঁরা ভিডিওটি দেখছেন তাঁরা যদি তাঁর কথা বুঝতে পারেন তাহলে তিনি শান্তি পাবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আবেদেন জানিয়ে বলেন, খুব বেশি অসুস্থ না হলে বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা না হলে কেউ যাতে হাসপাতালে ভর্তি না হন। কোভিডে আক্রান্ত হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এমনটা নয়। বাড়িতে থাকলেও সুস্থ হওয়া যায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন স্বল্প অসুস্থরাও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। আর তাতে রীতিমত সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেশি অসুস্থ যাঁরা তারা হাসপাতালে জায়গা পাচ্ছে না। বাড়িতে তাদের রেখে কোনও রকমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। তাতে বেশি আক্রান্তরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন এমন চিন্তা করার কোনও কারণ নেই যে গত এক বছর ধরে করোনা হয়নি বা আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছি- তাই আর নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি জানিয়েছেন ৩৫ বছর তরুণও করোনায় আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। গোটা পরিস্থিতি রীতিমত সংকট জনক বলেও দাবি করেছেন তিনি। নাগরিকদের টিকা নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন দেখা গেছে করোনা টিকার দুটি ডোজের পর আক্রান্ত হলেও সংশ্লিষ্টের অবস্থা খুব একটা সংকটজনক হয় না। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অ্যান্টিবডি কাজ করে বলেও জানিয়েছেন তিনি।