বিষয়টি এমন জায়গায পৌঁছেছে যে বিসিসিআই-ও আর নজর এড়িয়ে থাকতে পারেছেন না। সংবাদ সংবাদ সংস্থা আইএনএ-কে মৃনাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, গত বিশ্বকাপে চুড়ান্ত ব্যর্থতার পরই ইংল্যান্ড এই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল, তাতে কী ফল হয় তা রবিবার ইংরেজদের বিশ্বজয়ই দেখিয়ে দিয়েছে। ভারতও তাই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে চলেছে।
আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে রোহিত শর্মাকে। এই নিয়ে বোর্ডের মধ্যে জোর কথা চলছে। তবে টেস্ট ক্রিকেটে এরপরেও অধিনায়ক থাকবেন বিরাটই, কারণ তাঁর পক্ষে বোর্ডের অন্দরে বিপুল সমর্থন রয়েছে।
আরও পড়ুন - দলে বিরাট-রোহিত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! কারোর তোয়াক্কা করেন না শাস্ত্রীরা
আরও পড়ুন - বিরাটকে সরিয়ে রোহিত ! প্রশ্নটা অস্বস্তিকর অথচ এড়ানোরও উপায় নেই
আরো পড়ুন - ছিটকে যাওয়ার চাপেই কি কাবু বিরাট, বারবার নকআউটে ব্যর্থতার রেকর্ড তাই বলছে
তবে তারও আগে যে বিষয়টা বোর্ডের প্রধান মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হল দলে বিরাট-রোহিত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিশ্বকাপের ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে ভারতীয় ক্রিকেটের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে যা প্রধান অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সবার আগে এই সমস্যা মেটানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন বোর্ড কর্তারা।
এর আগেই বোর্ডের প্রশাসনিক কমিটির প্রধান বিনোদ রাই জানিয়েছিলেন, ছুটি কাটিয়ে শাস্ত্রী-কোহলিরা দেশে ফিরলেই বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর্যালোচনা করা হবে। ঠিক ছিল সেই বৈঠকে প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী, অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ উপস্থিত থাকবেন।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বোর্ড সূত্রে খবর, বৈঠকে ডাকা হতে পারে রোহিত শর্মাকেও। আর সেখানেই বিরাট-রোহিত দ্বন্দ্বের অস্বস্তিকর প্রসঙ্গটি উত্থাপন করা হবে। বৈঠকেই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা হবে। আর তারপরই ভারতীয় ক্রিকেট সাদা বল ও লাল বলের ক্রিকেটের জন্য দুই অধিনায়ক পেতে পারে। ইংল্যান্ডও কিন্তু গত চার বছরে একই পথে হেঁটেছে। সাদা বলের ক্রিকেটে তাদের অধিনায়ক মর্গান হলেও লাল বলে নেতৃত্ব দেন জো রুট।