ধোনি আউট হতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শ্রীকান্ত! একই পরিণতি বিহারেও

  • বিশ্বকাপ ২০১৯-এর সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছে ভারত
  • ধোনি রান-আউট হতেই ভারতের সব আশা শেষ হয়ে যায়
  • তারপরই হৃদোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে হুগলির এক ভারতীয় সমর্থকের
  • একই কারণে মৃত্যু হয়েছে বিহারের এক ব্যক্তিরও

amartya lahiri | Published : Jul 11, 2019 8:04 PM IST / Updated: Jul 12 2019, 01:38 AM IST

বুধবার ম্যাঞ্চেস্টারে খেলার একেবারে শেষ লগ্নে মহেন্দ্র সিং ধোনির রান আউটেই, ভারতের ফাইনালে ওঠার সব আশা শেষ হয়ে যায়। আর এই ঘটনাই কাল হয়ে দাঁড়াল হুগলি জেলার শ্রীকান্ত মাইতির জীবনের। জানা গিয়েছে ধোনি আউট হওয়ার পরই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং তারপরই তাঁর মৃত্যি হয়। একই ঘটনা ঘটেছে পাশের রাজ্য বিহারের কিষানগঞ্জেও।

৩৩ বছরের শ্রীকান্ত মাইতি একটি সাইকেল সাড়াইয়ের দোকান চালাতেন। বুধবার দোকানে বসেই মোবাইল ফোনে রোমাঞ্চে ঠাসা সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখছিলেন তিনি। পাশের এক মিস্টির দোকানে আরও কিছু স্থানীয় মানুষ জড়ো হয়েছিলেন একসঙ্গে খেলা দেখতে। তাঁরা জানিয়েছেন, গাপ্টিলের অসামান্য থ্রোয়ে ধোনি আউট হয়ে যেতেই শ্রীকান্তের দোকানে ভারি কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ হয়।  

আপও পড়ুন - অবসন্ন, হতমান - আউট হওয়ার পরই ফিরলেন সোজা হোটেলে! অবসর নিয়ে ধোনি দলকে কী বলেছেন

আরও পড়ুন - ছিটকে যাওয়ার চাপেই কি কাবু বিরাট, বারবার নকআউটে ব্যর্থতার রেকর্ড তাই বলছে

আরও পড়ুন - গাপ্টিলের ক্ষেপণাস্ত্রে ভাঙল ১৩০ কোটি ভারতীয় হৃদয়! ঘুঁচল না ২ ইঞ্চির দূরত্ব - দেখুন ভিডিও

সঙ্গেই সঙ্গেই তাঁরা শ্রীকান্তের দোকানে ছুটে যান। সেখানে মাটিতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন শ্রীকান্ত। তৎক্ষণাৎ তাঁকে এক স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ডাক্তাররা জানান, হাসপাতালে নিয়ে পৌঁছনোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ভারতের হার ও ভারতীয় ক্রিকেটের অন্ধ সমর্থক শ্রীকান্তের অকাল মৃত্যু - এই দুই ধাক্কায় বৃহস্পতিবার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছিল।

ধোনির ওই রান আউট কোটি কোটি ভারতীয়ের মন ভেঙে দিয়েছে। শ্রীকান্তের পরিণতি হয়েছে বিহারের কিশানগঞ্জের সদর হাসপাকতালের এক ডাক্তারেরও। জানা গিয়েছে কাজ শেষ। করে বাড়ি ফিরে এসে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে জমিয়ে খেলা দেখছিলেন তিনি। এমনকী রবীন্দ্র জাদেজা যখন ছয় মারছেন, তখন আতশবাজিও পোড়ান। কিন্তু খেলার শেষের দিকে যখন ক্রমেই চাপ বাড়ছে, তখনই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর।  তিনিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Share this article
click me!