লাদাখের গালোয়ান ভ্যলিতে চিনা হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে জোড়াল হয়েছে চিন বিরোধী আবহ। দিকে দিকে চলেছে চিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন। উঠেছে চিনা দ্রব্য বর্জনের ডাকও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারও চিনের ৫৯ টি মোবাইল অ্যাপলিকেশন ভারতে নিষিদ্ধ করেছে। যদিও এ আগেই আইপিএলে চিনা স্পনসর নিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বিসিসিআই। আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ভিভো একটি চিনা কোম্পানি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি চিনা কোম্পানি আইপিএলে লগ্নি করে। সকলের সঙ্গে চুক্তি বিচ্ছিন্ন করারও দাবি ওঠে। বোর্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে বণিক সভাও। এই পরিস্থিতি ৫৯টি অ্যাপ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে বিসিসিআইকে।
আরও পড়ুনঃবিশ্বকাপের মাঝেই স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম উপভোগ,আলমারীতে বউ লুকিয়ে রাখতেন সাকলিন মুস্তাক
চারিদিক থেকে আইপিএল থেকে চিনা স্পনসর বাতিলের দাবি জোড়াল হওয়ার পরই ১৯ জুন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ঠিক হয়েছিল, এক সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। বোর্ড সূত্রে খবর সেই বৈঠক আদৌ কবে হবে তা নিয়ে রয়েছে জটিলতা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ার আগে, আইপিএল নিয়ে বৈঠকের কোনও মানে হয় না বলে মনে করেন বিসিসিআই আধিকারিকরা। ভিতরে খবর কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনওরকম নির্দেশিকা না এল ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বিচ্ছেদ করতে রাজি নয় আইপিএল ও বিসিসিআই আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃক্রিকেট বিশ্ব হারাল আরও এক কিংবদন্তীকে,প্রয়াত এভার্টন উইকস
আরও পড়ুনঃসৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দল হারানোর ক্ষমতা রাখে বিরাট কোহলির দলকে
বিসিসিআইয়ের মতে, এই বিপদের সময়ে ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বিচ্ছেদ করা বোকামি ছাড়া আরও কিছুই না। কারণ চিনকে শাস্তি দিতে গিয়ে যদি ‘ভিভো’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়, তাতে লাভটা ‘ভিভো’রই। কারণ স্পনসরশিপের টাকাটা তারা নিজেদের দেশে লগ্নি করে দেবে। তার চেয়ে লকডাউনেও ‘ভিভো’র থেকে টাকা নিয়ে নিলে সেটাই শাস্তি। সঙ্গে ‘ভিভো’ চুক্তি নিয়ে বলা হয়েছে যে, যদি দেখা যায় চুক্তির ‘এক্সিট ক্লজ’-এ লাভ ‘ভিভো’র হচ্ছে, বোর্ডকে বিপুল ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে, তা হলে চুক্তিছিন্ন করা হবে না। তাই একমাত্র চিনা অ্যাপ বাতিলের মত, কেন্দ্রের তরফ থেকে যদি কোনও নির্দেশিকা আসে তাহলেই ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বিচ্ছেদ করা হবে। ফলে ঘরে বাইরে চিনা স্পনসর নিয়ে বেজায় চাপে পড়েছে বোর্ড কর্তারা।