এবার স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কারণ লোধা কমিটির র প্রস্তাব অনুযায়ী গৃহীত বোর্ডের নতুন সংবিধানে স্বার্থের সংঘাতের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। একই ব্যক্তি ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত একাধিক পদে থাকতে পারবেন না, এই নিয়ম লাগু হয়েছে নতুন সংবিধান মান্যতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। কোনও ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে, সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে ছাড়তে হবে একটি পদ। এমনকী শাস্তিও হতে পারে বলেও উল্লেখ রয়েছে।
বর্তমান দল থেকে কাকে ২০০৩ বিশ্বকাপ দলে নিতেন,মায়াঙ্কের প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বললেন
বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ এনেছেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার লাইফ মেম্বার সঞ্জীব গুপ্তা । তাঁর অভিযোগ, বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বিরাট ক্রীড়া সম্পর্কিত একাধিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আছেন। যা লোধা কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশের বিরোধী। নিজের অভিযোগ পত্রে বিরাটের দুটি সংস্থার নামও লিখে দিয়েছেন সঞ্জীব গুপ্তা। তাঁর অভিযোগ এই দুটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে বিসিসিআইয়ের নিয়ম ভেঙেছেন কোহলি। আসলে কোহলি কর্ণারস্টোন ভেঞ্চার পার্টনার্স এলএলপি এবং বিরাট কোহলি স্পোর্টস এলএলপির ডিরেক্টর। কর্ণারস্টোন ভেঞ্চার কোহলি ছাড়াও লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋষভ পন্ত, উমেশ যাদব ও কুলদীপ যাদবের বাণিজ্যিক স্বার্থের দেখাশোনা করে।
আরও পড়ুনঃবর্তমানে বিশ্বের সব থেকে 'সেক্সিয়েস্ট অ্যাথলিট', জানুন আলিশা স্মিডের কাহিনি
ঘটনায় ইকিমধ্যেই বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈনকে ই-মেল পাঠিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন সঞ্জীব গুপ্তা। ডি কে জৈন অভিযোগের সত্যাসত্য যাচাই করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এই অভিযোগকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ বিসিসিআই। কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভারতীয় বোর্ডকে বেলাইন করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন এক বিসিসিআই কর্তা। এর আগে সচিন তেণ্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষণদের মতো তারকাদের বিরুদ্ধেও এই একই ধরনের অভিযোগ এনেছিলেন সঞ্জীব। প্রায় সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের যথার্থতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও বোর্ডের এথিক্স অফিসার কোহলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন।