ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) বাংলা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এবার সিএবি (CAB) প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া (Avishek Dalmiya) জানিয়ে দিলেন ঋদ্ধি যোগাযোগ করে জানিয়েছেন তিনি রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবেন না।
বাংলা ক্রিকেট দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। তারপরই বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল রঞ্জি ট্রফির নক আউট পর্বে বাংলার হয়ে খেলবেন না তারকা উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্য়ান। আগামি দিনেও ঋদ্ধিকে বাংলার হয়ে আর খেলতে দেখা যাবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। যদিও প্রকাশ্য়ে এই বিষয় নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি ঋদ্ধিমান সাহা। তবে ভারতীয় তথা এখনও পর্যন্ত বাংলার তারকা উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্য়ান যে রঞ্জি ট্রফির নকআউটে বাংলা দলের হয়ে খেলবেন না, তা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। ঋদ্ধি সিএবির সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন, মন্তব্য অভিষেক ডালমিয়ার।
বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই সিএবির সঙ্গে ঋদ্ধিমান সাহার সম্পর্ক নিয়ে ফের জলঘোলা শুরু হয়। ফোন না করে বাংলা দলে রাখা থেকে শুরু করে, পূর্বে সিএবি কর্তার ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা, ইত্যাদিক একাধিক কারণে সিএবির প্রতি অভিমানী ঋদ্ধিমান সাহা। এনওসি চেয়েছেন বলেও খবর। আগামি মরসুমে অন্য কোনও রাজ্যের হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে ঋদ্ধিমান সাহাকে। এই বিষয়ে অভিষেক ডালমিয়া বলেন,'ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল চেয়েছিল ঋদ্ধিমান সাহা এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলার হয়ে খেলুক, বিশেষ করে যখন গ্রুপ পর্বের শেষে দেশের শীর্ষস্থানীয় দল হওয়ার পর রঞ্জি ট্রফি জেতার জন্য বাংলা নকআউট পর্বে লড়বে'। এছাড়াও অভিষেক ডালমিয়া বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমি ঋদ্ধিমানের কাছে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছি। যাইহোক, ঋদ্ধিমান আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন ও জানিয়েছেন যে তিনি রঞ্জি নকআউট খেলতে ইচ্ছুক নন।
ঋদ্ধির সঙ্গে সিএবির সংঘাত নতুন নয়। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ খেলতে চাননি ঋদ্ধিমান সাহা। সেই সময় সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধির বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারপর সম্প্রতি রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা দলে ঋদ্ধির নাম রাখা নিয়েও তৈরি হয় বিতর্ক। রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা দলে মহম্মদ শামিকে দলে রাখার জন্য ভারতীয় পেসারের সঙ্গে আগে ফোনে কথা বলে নেয় সিএবি কর্তৃপক্ষ। তারপর তাকে টিমে রাখা হয়। যদিও শামি খেলতে পারবে কিনা তা ঠিক করবে বিসিসিআই। কারণ ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি রয়েছে। কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ না করেই তাকে দলে রাখা হয়। যেখানে তিনিও ২ মাস ধরে আইপিএল বায়ো বাবলে রয়েছে। এরপরই নাকি অভিমানী ঋদ্ধি বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমনকী ঋদ্ধির ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় টেস্ট উইকেটকিপার সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে ফোন করে বলেন , তিনি আর বাংলার হয়ে খেলতে চান না! বরং তিনি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ চান সিএবির থেকে।
এই পরিস্থিতির সমাধানে আসরে নামেন খোদ বাংলা দলের কোচ অরুণ লাল। বাংলা তথা ভারতীয় দলের তারকা উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্যানের সঙ্গে ফোনে কথা বলে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করেন বাংলা কোচ। অরুণ লাল ঋদ্ধিকে নিয়ে বাংলার কর্তার মন্তব্যের এদিন কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন বলেও জানা যায়। পাশাপাশি ঋদ্ধিকেও মাথা ঠান্ডা রেখে পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন বলে সূত্রের খবর। ঋদ্ধিকে সব অপমানের জবাব ব্যাট হাতে মাঠেই দেওয়ার কথাও নাকি বলেছিলেন অরুণ লাল। এরপর মনে করে হয়েছিল ঋদ্ধির অভিমান কিছুটা কমবে ও বাংলা দলের হয়ে তিনি খেলবেন। কিন্তু বাংলা দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রু ছাড়া ও অভিষেক ডালমিয়ার বিবৃতির পর ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, সিএবি-ঋদ্ধির সম্পর্ক আর জোড়া লাগার নয়।
আরও পড়ুনঃইডেনে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড রজত পাতিদারের, আর কারা সেঞ্চুরি করেছেন আইপিএল প্লেঅফে
আরও পড়ুনঃদল হারলেও কেএল রাহুলের গড়লেন অনন্য রেকর্ড, যা আইপিএলে নেই কোহলি-রোহিত-ধওয়ান-গেইলদের