লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার বর্বরোচিত হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের শহীদ হওয়ার ঘটনায় উত্তাল দেশ। বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে চিন বিরোধী আন্দোলন। ভারত সরকারের কাছে যোগ্য জবাবের দাবিও জানিয়েছেন অনেকে। একইসঙ্গে উঠেছে চিনা দ্রব্য বর্জনের ডাক। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে বিসিসিআইও। কারণ আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ভিভো চিনা কোম্পানি। এছাড়াও আইপিএল তথা ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একাধিক চিনা কোম্পানি। প্রথমে ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের কথা সরাসরি নাকোচ করে দিয়েছিল বিসিসিই। এত আখেরে ভারতের অর্থনৈতিক লাভ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। যদিও পরে দেশবাসীর আবেগ ও চিন বিরোধী আবহ বুঝতে পেরেই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটে বিসিসিআই। আগামী শুক্রবার চিনা স্পনসরের বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক ডেকেছে বিসিসিআই। ‘ভিভো’, ‘আলিবাবা’, ‘পেটিএম’-সহ সমস্ত চিনা সংস্থারই ভাগ্য নতুন করে নির্ধারণ হবে ওই বৈঠকে।
আরও পড়ুনঃঅবস্থান বদল বিসিসিআইয়ের, আইপিএলে চিনা স্পনসর নিয়ে বৈঠকে গভর্নিং কাউন্সিল
কিন্তু এরই মধ্যে বিসিসিআইয়ের অস্বস্তি আরও বাড়াল 'চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি' নামের বণিক সভা। আইপিএলে চিনা স্পনসর বাতিল করার দাবি আরও জোড়াল করেছে এই বণিক সভা।বিসিসিআইকে বণিকসভার তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে ‘চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’-র পক্ষ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে,আইপিএলে যাবতীয় চিনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে। শুধু অনুরোধ নয়, কার্যত বিসিসিআইকে হুঁশিয়ারীও দেওয়া হয়েছে বণিক সবার তরফে। চিঠিতে ‘চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ নামের বণিকসভার তরপে বলা হয়েছে, বোর্ডকে দ্রুত চিনা সংস্থাগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। বিসিসিআই যদি তা না করে, তাহলে দেশের সব ব্যবসায়ী আইপিএল বয়কট করবে। এমনকী জাতীয় দলের ম্যাচও স্পনসর করবে না তাঁরা। বণিক সভার এই চিঠির পর বিসিসিআইয়ের অস্বস্তি আরও বেড়েছে। একদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে আইপিএল করা নিয়ে সমস্যা,তারউপর দেশে চিন বিরোধী আবহে চিনা স্পনসর বাতিল করার দাবি জানিয়ে বণিক সভার চিঠি। ফলে আইপিএল নিয়ে ঘরে বাইরে সাঁড়াশি চাপে রয়েছেন বিসিসিআই কর্তারা।
আরও পড়ুনঃবউদির পর এবার কি করোনা আক্রান্ত সৌরভের দাদা,কী জানাল বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের পরিবার