দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় মঙ্গলবার লকডাউনের মেয়াদ আরও ১৯ দিন বৃদ্ধি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ছিল সেই লকডাউনের শেষ দিন। ২১ দিনের লকডাউন মানার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দেশে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য লকডাউনই একমাত্র পথ বলে জানান নমো। তারপরই ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন মোদী। এরপরই ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে পরিযায়ী শ্রমিকদের। গন্তব্যে ফিরতে মুম্বইয়ের বান্দ্রা স্টেশনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সে রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকরা। পরিবহণ পরিষেবা চালু করে সরকারের কাছে তারা তাদের গন্তুব্যে পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। আরও পড়ুনঃশোয়েব আখতারের ভিডিও শেয়ার পন্টিংয়ের, বললেন,'আমার খেলা সব থেকে দ্রুত গতির স্পেল' আরও পড়ুনঃকরোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধকে ‘মাদার অফ অল ওয়ার্ল্ড কাপস’ বলে আখ্যা রবি শাস্ত্রীর বান্দ্রা স্টেশনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ক্রিকেটার হরভজন সিং। করোনা প্রতিরোধের জন্য দেশের মানুষ গৃহবন্দি হয়ে যখন লড়াই চলাচ্ছেন তখন বান্দ্রা স্টেশনে শ্রমিকদের এমন অবিবেচকের মতো আচরণের ঘটনায় হরভজন জানালেন কার্ফু জারিই একমাত্র উপায়। ট্যুইটারে হরভজন লেখেন,‘সবাইকে ঘরের ভিতরে রাখতে কার্ফুই একমাত্র উপায়। বান্দ্রায় আজ যেটা ঘটল সেটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মানুষ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝছে না। নিজের জীবন তো বটেই অন্যের জীবনকেও বিপন্ন করে তুলছে এরা।’ একইসঙ্গে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন টার্বুনেটর। এর আগেও দিল্লির আনন্দবিহার বাস স্ট্যান্ডে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়ের ঘটনাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন হরভজন সিং। সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার ও সাধারণ মানুষের কথা ভাবার আর্জি জানিয়েছিলেন টার্বুনেটর। এবার বান্দ্রার ঘটনাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হরভজন সিং। একইসঙ্গে বারবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে দেশবাসীকে এক হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন ভারতীয় স্পিনার। আরও পড়ুনঃদলবদলে ফের চমক ইষ্টবেঙ্গলের,বলবন্তের পর লাল-হলুদে পাকা বিক্রমজিৎ সিং ও চুলোভা