মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার এক আজীবন সদস্য। একের পর এক অভিযোগ জমা করে তিনি এখন ভারতীয় ক্রিকেট মহলের খলনায়ক হয়ে উঠেছেন। অনেক ক্রিকেট বোদ্ধাই মনে করেন নিজেকে বিখ্যাত করার জন্যই এই পন্থা নিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার এই সদস্য। একটাই অভিযোগ তিনি একাধিক ক্রিকেটারের নামে করে চলেছেন। কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। সচিন-লক্ষণ-রাহুলের পর এবার সঞ্জীব গুপ্তার নিশানায় ছিলেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এবারও তাঁর অভিযোগ হাওয়ায় উড়িয়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন - শাস্তির পরোয়া নেই, নিরাপত্তা বলয় টপকে মাঠে ঢুকলেন ‘বিরাট’ ভক্ত
৪ অক্টোবর বর্তমান বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈনের কাছে নাশিল করেছিলেন সঞ্জীব। সৌরভ তখনও বোর্ড সভাপতির পদে বসেননি। মহারাজ তখনও বাংলা ক্রিকেট সংস্থার প্রধান। সঞ্জীবের বক্তব্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গেলর সভাপতি থাকার পাশাপাশি আরও একাধিক পদে আছেন। যদিও এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখ সৌরভ সিএবি থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতির পদে বসেন।
আরও পড়ুন - কোহলির হয়ে ব্যাট ধরলেন জাহির খান, সভাপতি সৌরভকে নিয়েও প্রসংশা জ্যাকের
গত কয়েক বছরে ৪০০ বেশি অভিযোগ জমা করেছেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার আজীবন সদস্য সঞ্জীব গুপ্তা। তাঁর অভিযোগের তদন্ত করটাই যেন একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে বোর্ডের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈনের। সৌরভ বোর্ড সভাপতি হওয়ার আগে এই সব অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যেই নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। বিনোদ রাইয়ের হাত থেকে বোর্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর সৌরভরা সংবিধানে কিছু পরিবর্তনের ভাবনা চিন্তা করছেন। আর এই পরিবর্তনের তালিকার ওপরের দিকেই জায়গা করে নিয়েছে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের নিয়ম। শোনা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই নিয়ে আবেদনও জমা করেছে বোর্ড। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সম্মতি জানালে পরিবর্তন হতে পারে স্বার্থ সংঘাতের নিয়ম।
আরও পড়ুন - আইপিএল নিলামের আগে দল-বদলে কে কোন ঘরে, কোথায় দাঁড়িয়ে কেকেআর