২০১৬ সালে মুক্তি পায় মহেন্দ্র সিং ধোনি-র জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত সিনেমা "এম এস ধোনি, দ্য আনটোল্ড স্টোরি"। মুক্তি পাওয়া মাত্র জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিল সিনেমাটি। সিনেমায় ধোনির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কয়েকদিন আগে দুঃখজনক ভাবে মারা যাওয়া বলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। কিন্তু একটু খোঁজ খবর নিলেই জানা যায় যে সিনেমায় দেখানো সবকটি ঘটনা হয়তো সত্যি নয়। এমনিতেই ভারতের হয়ে অধিনায়কত্ব করার সময় যে কয়েকটি ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছিলেন ধোনি তখনও পর্যন্ত সব ঘটনাগুলিকেই সযত্নে এড়িয়ে গিয়ে শুধুমাত্র অধিনায়ক ধোনির সাফল্য গুলির ওপরেই বেশি করে প্রকাশ করা হয়েছে সিনেমায়। এখন জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি ঘটনা সম্পর্কে যা সিনেমায় দেখানোই হয়নি অথবা দেখানো হলেও তা পুরোপুরি সঠিক নয়।
আরও পড়ুনঃঘরোয়া থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, জেনে নিন ২২ গজে ধোনির অজানা কিছু রেকর্ড
• সিনেমায় দেখানো হয়েছিল যে মহেন্দ্র সিং ধোনি নিজের জীবনের প্রথম ভালোবাসা প্রিয়াঙ্কা ঝাঁ-এর সঙ্গে তার প্রথমবার যখন দেখা হয় তখন ধোনি ২০০৫ এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের দলে রয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে প্রিয়াঙ্কার সাথে ধোনির দেখা হয় যখন তখন ধোনি ভারতীয় এ দলের সদস্য হিসাবে কেনিয়ায় উড়ে যাচ্ছেন ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার জন্য। বাস্তবে প্রিয়াঙ্কা যখন দুর্ঘটনায় মারা যান তখনও জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি ধোনি।
• বাস্তব জীবনে ধোনির নিজের এক দাদা ছিলেন যার নাম নরেন্দ্র সিং ধোনি। যিনি রাঁচি-তে একজন পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু তার অস্তিত্ব সিনেমায় পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। শোনা যায় কোনও এক ঝামেলার কারণে নরেন্দ্র-র সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে বাকি ধোনি পরিবার এবং এখন তিনি নিজের স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা থাকেন।
• সিনেমায় দেখানো হয়েছে ২০০৮ সালে লাভা মোবাইলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে বিজ্ঞাপন শ্যুট করছেন ধোনি। কিন্তু একটু তথ্য ঘাটলে জানা যায় যে ২০০৮ সালে লাভা ব্রান্ডটির কোনও অস্তিত্বই ছিল না। ২০০৯ সালে লাভা-ব্রান্ডের পথচলা শুরু হয়। লাভা ছাড়াও ছবিতে দেখানো হয়েছে ধোনি ফিনলেক্স এবং গার্নিয়ারের হয়েও বিজ্ঞাপন শ্যুট করছেন।
• সিনেমাতে দেখানো হয়েছে এম এস ধোনি নিজের স্ত্রী সাক্ষী-র সাথে প্রথমবার পরিচিত হন তাজ বেঙ্গল হোটেলের লবিতে। অবশ্যই ধোনির সাথে তাজ বেঙ্গলে দেখা হয়েছিল সাক্ষীর। কিন্তু তারা পরস্পর পরস্পরকে অনেক আগে থেকেই চিনতেন। রাঁচি তে দুজনের বাবা একই জায়গায় কর্মরত ছিলেন এবং ধোনি এবং সাক্ষী একই স্কুলে পড়তেন। মাঝে যদিও কাজের সূত্রে নিজের পরিবারের সাথে সাক্ষী-র বাবা নিজের পরিবার সহ দেরাদুন চলে যাওয়ায় দীর্ঘদিন দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ ছিল না। তাজ বেঙ্গলে দেখা হওয়ার পর থেকে দুজনেই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলতেন।
• সিনেমায় দেখানো হয়েছে যে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ধোনি নিজেই যুবরাজের আগে নামার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেওবাগ এবং আরও অনেক ক্রিকেটার জানিয়েছেন ওই বিশেষ দিনে গুরুত্বপূর্ণ ওই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন সচিন টেন্ডুলকার। তিনিই প্রথম মুথাইয়া মুরলিধরণের সামনে যুবরাজের বদলে ধোনি-কে নামানোর পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুনঃতাদের বন্ধুত্ব যেন 'জয়-বীরুর' মত, ধোনিকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়েছিলেন রায়না
আরও পড়ুনঃ'ধোনিই একজনই হয়', প্রাক্তন অধিনায়ককে নিয়ে ভারতীয় ড্রেসিং রুম থেকে কি এল বার্তা