সরকারি ঘোষণা না হলেও বিসিসিআইয়ের (BCCI) দাবি মেনে নিল আইসিসি (ICC)। আইপিএলের (IPL) জন্য আড়াই মাসের উইন্ডো ছাড় দিতে চলেছে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
২০২২ সাল থেকে দল সংখ্যা বেড়ে আইপিএলে। ৮ থেকে ১০ দলের হয়েছে প্রতিযোগিতা। ম্যাচ সংখ্যাও বেড়ে ৬০ থেকে হয়েছে ৭৪। আগেই জানা গিয়েছিল আইপিএলের ম্য়াচ সংখ্যা আগামি বছর থেকে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে বিসিসিআই। ৭৪ থেকে বেড়ে সেই ম্যাচ সংখ্যা হতে পারে ৯৪। যার ফলে প্রতিযোগিতার সময় সীমাও আরও কিছুটা বাড়বে। সেই মর্মে আগে থেকেই আইসিসির কাছে আবেদন পত্র দিয়ে রেখেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আইপিএলের জন্য বছরে আড়াই মাস নির্দিষ্ট সময় চায় বিসিসিআই। আইসিসি সূত্রে যা খবর বিসিসিআইয়ের আবেগন প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ২০২৪ পর্যন্ত ক্রিকেট ক্যালেন্ডার প্রাথমিক যে খসড়া তৈরি করেছে, তাতে আইপিএলের জন্য আড়াই মাস সময় রেখেছে আইসিসি। যদিও এই বিষয়ে এখনও সরকারি ঘোষণা করেনি আইসিসি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ করে কোনও দেশের ঘরোয়া টি২০ লিগের জন্য এতটা সময় আইসিসি দেওয়ায় একমাত্র পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আপত্তি জানাতে পারে। কারণ আইপিএল ছাড়া বিগ ব্যাশ লিগ, দ্যা হান্ড্রেড, পাকিস্তান সুপার লিগের মত বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া টি২০ লিগগুলির জন্য আইসিসি কোনও উইন্ডো রাখছে না। শুধু মাত্র আইপিএলের জন্যই সময় রাখছে আইসিসি। যাতে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটাররা খেলতে পারে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। এই বিষয়ে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছেন,'এবার আইপিএলে সর্বমোট ৭৪-টা ম্যাচ হয়েছে। ভবিষ্যতে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। শেষমেশ সেটা গিয়ে ৯৪-তে দাঁড়াবে। দেড় মাসের আইপিএল নয়, তার পরিবর্তে টুর্নামেন্টের মেয়াদ হতে চলেছে আড়াই মাসের। সেটা হবে আইসিসির পরের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার থেকে।'
প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হলেও আইসিসির সরকারিভাবে এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। কারণ, ২৫ এবং ২৬ জুলাই বার্মিংহ্যামে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভা রয়েছে। সেখানে সকল দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সেখানেই আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তবে আইসিসি আইপিএলের জন্য যে আড়াই মাস সময় ছাড়তে রাজি তা একপ্রকার নিশ্চিৎ। অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্য়ান্ড ক্রিকেট বোর্ড ও চায় তাদের ঘরোয়া টি২০ লিগে যেন তারকা ক্রিকেটারদের পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের দাবি খুব একটা ধোপে টিকবে বলে মনে হয় না। তবে আইপিএলের জন্য যেভাবে আইসিসি নিজেদের ক্যালেন্ডার থেকে আড়াই মাসের মত সময় ছেড়ে দিচ্ছে তাতে আন্তর্দাতিক ক্রিকেটের পক্ষে বিষয়টিকে খুব একটা ভালোভাবে দেখছে না ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।