শুধু এমএস ধোনি নয়, আরও ভারতীয় ক্রিকেটার রয়েছে যারা আইসিসির তিনটি ট্রফি জিতেছে
- FB
- TW
- Linkdin
যুবরাজ সিং-
ভারতীয় দলের সবচেয়ে বড় ম্য়াচ উইনারদের মধ্যে অন্যতম যুবরাজ সিং। ২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রতিভা দেখানোর তেমন সুযোগ পাননি। দুটি ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পান। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনি ৬২ রান ও একটি উইকেট নেন।
এরপর ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ‘ডু ওর ডাই’ ম্যাচে স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে যুবরাজ ৯ ম্যাচে ৩৬২ রান ও ১৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন।
বীরেন্দ্র সেওয়াগ-
২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বীরেন্দ্র সেওয়াগ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন। এই প্রতিযোগিতায় তিনি ৫ ম্যাচে ২৭১ রান করেছিলেন। সেই সময় থেকে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম ধ্ববসাত্মক ব্য়াটসম্যান হয়ে উঠেছিলেন। কেরিয়ারে খুব একটা পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। চোটের কারণে ফাইনাল খেলতে না পারলেও সেমিফাইনাল পর্যন্ত দলকে ভালো শুরু দিয়েছিলেন। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপে তিনি সচিন তেন্ডুলকরের সাথে ওপেনিংয়ে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন।
হরভজন সিং-
ভারতীয় অফস্পিনার হরভজন সিং তিনটি আইসিসি ট্রফি জেতার স্বাদ পেয়েছেন। ২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারতীয় দল যৌথভাবে জয়ীহয়েছিল। এই টুর্নামেন্টে তিনি ৫ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।
এরপর ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৭ উইকেট, ২০১১ বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। যদিও এই তিনটি টুর্নামেন্টে হরভজনের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না, কিন্তু তিনি প্রতিপক্ষ দলকে চাপে রেখেছিলেন।
এমএস ধোনি-
মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অন্যতম সেরা অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধোনি তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালেও গম্ভীরের সাথে জুটি বেঁধে দলকে শিরোপা জেতান। ফাইনালে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন।
এরপর ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ধোনি ম্যাচে ইশান্ত শর্মার হাতে বল তুলে দেন, যিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে ধোনি প্রথম ও একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে তিনটি আইসিসি শিরোপা জেতেন।