ভারত যে ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভের টেস্ট হারছে তা স্পষ্ট ছিল। বলতে গেলে হারটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতেই পরিস্কার হয়ে যায় ভারতের লড়াইয়ের ক্ষমতাটা। শেষমেশ ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বসাকুল্যে ১৯১ রান তুলতে সমর্থ হয়। যা জেরে নিউজিল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য মাত্র ৯ রানের টার্গেট ছোঁয়াটা দরকার ছিল। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ল্যাথাম ও ব্লান্ডেল কোনও অসুবিধা ছাড়াই এই রান তুলে দেন। যার জেরে নিউজিল্যান্ড বেসিন রিজার্ভ টেস্ট ১০ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয়। ফলে ২ টেস্টের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ১-০-তে এগিয়ে গেল।
আরও পড়ুন- শেষ ২০ ইনিংসে নেই কোনও শতরান, কোহলি-র ফর্ম নিয়ে শুরু হল কাটা-ছেঁড়া
তৃতীয় দিনের খেলা যখন শেষ হয়েছিল তখন ভারতের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৪৪। ক্রিজে ছিলেন রাহানে এবং হনুমা বিহারী। রাহানে ২৫ রান করে এবং বিহারী ১৫ রান অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতেই মাত্র চার যোগ করেই আউট হয়ে যান রাহানে। দলের স্কোর তখন ১৪৮। তাঁকে ক্যাচ আউট করেন বোল্ট। রাহানে আউট হতেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন বিহারী। বোল্টের পরের ওভারে বল করতে এসে সাউদি তাঁকে বোল্ড করে দেন। এরপর ঋষভ পন্থ কিছুটা আক্রমণাত্মক ঢঙে রানের গতি বাড়াতে চাইলেও সফল হননি। তিনি ৪১ বলে ২৫ রান করেন। ঋষভের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ব্যাটিং-এর ভরসা ছিলেন অশ্বিন। কিন্তু, দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা এবং শুধুমাত্র টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া অশ্বিনের পক্ষে কুম্ভ রক্ষা করা সম্ভব ছিল না। তিনি ১১ বলে ৪ রান করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের টেল এন্ডারদের সমস্ত প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে ৮০তম ওভারে যখন নিউজিল্যান্ড নতুন বলে আক্রমণ শুরু করে। ঋষভ পন্থ-ও নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণের নতুন বলের সামনে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁকে ক্যাচ আউট করেন সাউদি। যে ক্যাচ আবার বোল্ট তালুবন্দি করেছিলেন। ঋষভ আউট হতেই জসপ্রীত বুমরাহ আসেন এবং তিনি সাউদির বলে শূন্য রানে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ১৯১।
আরও পড়ুন- ফিরলেন মোর্তাজা সঙ্গে দুই নবাগত, জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দল ঘোষণা বাংলাদেশের
জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৯ রান। যা তারা অনায়সে তুলে নেয়। এই নিয়ে নিউজিল্যাান্ড ১০০টি টেস্ট জয়ের নজির গড়ল। এরমধ্যে ২৮টি টেস্ট জয়ে একসঙ্গে সামিল হয়েছেন বোল্ট ও সাউদি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় একটা স্থান করে নিলেন বোল্ট ও সাউদি-র পেস জুটি। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন টিম সাউদি। তিনি এই টেস্টে মোট ৯টি উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে সাউদি ৪টি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি উইকেট ঝুলিতে পোরেন।
আরও পড়ুন- ম্যাড়ম্যাড়ে ভারতীয় বোলিংয়ে একমাত্র উজ্জ্বল আলো ইশান্ত, তুললেন ৫ উইকেট