পুণেতে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টে কোণঠাসা ফাফস ডুপ্লেসির দল। একদিকে বিরাটের ব্যাটিং সামলাতে নাজেহার হয়ে পরেছিল তারা। এবার টিম ইন্ডিয়ার বোলিংর সামনে ধাক্কা খেয়ে গেলে প্রোটিয়ারা। প্রথম ইনিংসে ১৫৭ ওভার ব্যাটিং করে ভারত যেখানে ৬০১ রান বোর্ডে তুলে ফেলেছে সেখানে জবাব দিতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা প্রটিয়াদের। মাত্র ১৫ ওভারে ব্যাটিং করে দ্বিতীয় দিনের শেষে তিন উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। উমেশ সামি জুটি ফাফের দলের টপ অর্ডারকে প্যাভেলিয়ানের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন - একটি শতরান ও একাধিক ‘বিরাট’ রেকর্ড
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ভারত যখন মাঠে নামে তখনও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সুযোগ ছিল খেলায় ফিরে আসার। কিন্তু বিরাট কোহলি সেই সুযোগটাই দিলেন না। সেঞ্চুরি তারপর ডবল সেঞ্চুরি ভারত অধিনায়কের। বিরাটের ব্যাটের দাপট যত বাড়ল ততই ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। রাহানে ৫৮ রানে ফিরে গেলেও জাদেজা অধিনায়ককে সঙ্গ দিয়ে গেলেন। বিরাট কেরিয়ারের সপ্তম ডবল সেঞ্চুরি করে শেহওয়াগকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন বিরাট। ২০১৮ সালে একটাও ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি বিরাট। ২০১৯সালের শেষ বেলায় এসে কেরিয়ারের সেরা স্কোর ২৫৪ রান করলেন তিনি। কোহলি ইনিংস ডিক্লেয়ার করার সিদ্ধান্ত না নিলে তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরিটাও পাকা ছিল। কিন্তু জাদেজা ৯১ রানে আউট হতেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিলেন বিরাট। তার আগে যদিও একাধিক রেকর্ড নিজের দখলে করে নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
আরও পড়ুন - কোচের পদে ফিরলেন অনিল কুম্বলে, সঙ্গী ওয়ালস, জন্টি ও জর্জ বেইলি, ছাড়া হচ্ছে না অশ্বিনকে
৬০১ রানের জবাব দিতে নেমে ভারতীয় পেস বোলিংয়ের কোনও উত্তরই খুঁজে পেল না দক্ষিণ আফ্রিকা। অনেক দিন পর টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম ওভারের উইকেট নিলেন উমেশ যাদব। শূন্য রানে ফিরে গেলেন মাক্রম। এর পরের ওভারেই উমেশ ফিরিয়ে দিলেন এলগরকে। সামির বলে প্যাভেলিয়ানে ফিরলেন টেম্বা বাভুমা। ভারতীয় পেসাররা যেমন শেষ বেলায় আগুন ঝড়ালেন তেমনই দুরন্ত উইকেট কিপিং করে অধিনায়কের আস্থার মার্যাদা রাখলেন ঋদ্ধিমান সাহা। দ্বিতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩৬/৩। তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে ডুপ্লেসি বা ডি’ককরা বিশেষ কিছু করে দেখাতে না পারলে ভারতকে হয়তো আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামতেই হবে না।
আরও পড়ুন - তিনটি নয়, আটটি সংস্থা অংশ নিতে পারবে না বোর্ডের নির্বাচনে, জানিয়ে দিল সিওএ