বল হাতে যেমন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের তল খুঁজে পায়নি তারা, ঠিক তেমনই ব্যাট হাতে ভারতীয় বোলিংয়ের তল খুঁজে পেল না প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। তাই চার দিনেই সব লড়াই শেষ ফাফ ডুল্পেসির দলের। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টও প্রোটিয়াদের উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতে নিল বিরাটের টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ জয় ইনিংস ও রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ধরাসায়ী দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং। ভারতের বোলিং বিভাগে স্পিনার থেকে পেসার সবাই সফল। খালি হাতে ফিরলেন না কোনও বোলারই। এক ইনিংস ও ১৩৭ রানে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে নিল ভারতীয় দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে তিনটি কর উইকেট নিলেন উমেশ ও জাদেজা।
আরও পড়ুন - বিরাটের কথার মান রাখলেন ঋদ্ধি, প্রমাণ করলেন তিনিই সেরা
তৃতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর প্রশ্ন ছিল একটাই, ভারত কি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করবে, নাকি প্রোটিয়াদের ফলোঅন করাবে। চতুর্থ দিনের শুরুতে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রোটিয়াদের ফলোঅন করতে পাঠিয়ে দিলেন। ২০০৮ সালের পর আবার ফলো অনের লজ্জার মুখে পড়তে হল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে পাল্টা ঘুড়ে দাঁড়ানোর মানসিকতাই দেখাতে পারলেন না এলগাররা। প্রথম ওভারে থেকেই উইকেট পড়া শুরু হয়ে গেল।
আরও পড়ুন - ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ম্যাচের মাঝেই শর্ট স্কোয়ার লেগে দুরন্ত ক্যাচ ভিভিএস লক্ষ্মণের
সামি, ইশান্ত উমেশ হোন বা অশ্বিন, জাদেজা ভারতীয় বোলাদরে প্রশ্নের উত্তরটাই দিতে পারেল না ফাফ ডুপ্লেসিরা। ভারতীয় বোলারদের দাপটের মাঝেই উইকেটের পেছনে অনবদ্য ঋদ্ধিমান সাহা। লড়াই বলতে আবার সেই দুই টেল এনাডারল, ফিলেন্ডার ও কেশব মহারাজ কিছুটা উইকেটে থাকার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সেটা ম্যাচ বাঁচানোর জন্য যথষ্ট নয়। তিন টেস্টের সিরিজ। প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেই সুরিজ দখলে নিয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া। এবার লক্ষ্য প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ২০০ পয়েন্ট পৌছে গেল ভারতীয় দল। অধিনায়ক কোহলি ১৬টি সিরিজে দলকে নেতৃতীব দিলেন। ১২টি সিরিজই জিতে নিয়েছেন। সফল অধিনায়কদের শীর্ষে থাকা রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ড আর বেশীদিন থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স সেই কথাই যে বলছে।
আরও পড়ুন - শহরে পা রাখলো ব্লু টাইগার্স, সুনীলদের নিয়ে প্রবল উন্মাদনা বিমানবন্দরে