রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2022) সেমি ফাইনালে (Semi Final) পৌছে গেল বাংলা (Bengal)দল। কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪৭৫ রানের লিড পায় বাংলা। তার ফলেই শেষ চারে অরুণ লালের দল।
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে একাধিপত্ব দেখিয়ে সেমি ফাইনালে পৌছে গেল বাংলা দল। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ম্য়াচের প্রথম ইনিংসে অরুণ লালের দলের পাহার প্রমাণ ৭৭৩ রানই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত করে দিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু সরকারিভাবে ৫ দিনের খেলা শেষ করা। ম্য়াচর প্রথম ৪ দিন দাপট দেখানোর পর পঞ্চম দিনও ছেলেরা বুঝিয়ে দিল এবার ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নেমেছে তারা। ম্যাচের পঞ্চম দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেন বাংলার মন্ত্রী ও ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৮টি সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেলেন মনোজ। প্রামণ করলেন তার মধ্যে ক্রিকেট এখও ফুরিয়ে যায়নি। প্রথম ইনিংসে ৪৭৫ রানের বিশাল লিড পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিসে ৩১৮ রানে ৭ উইকেট যখন স্কোর খেলা শেষ করা হয় হয়। প্রথম ইনিংসে লিডের সুবাদে সেমির টিকিট পাকা করে ফেলে বাংলা।
ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঝাড়খণ্ড। সবুজ উইকেট বোলাররা সাহায্য পাবে সেই আশায় বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সেটাউ বুমেরাম হয়। প্রথম ইনিংসে বাংলার প্রথম ৯ ব্যাটসম্য়ান অর্ধশতরান বা তার বেশি রান করে রেকের্ড তৈর করে। ১২৩ বছর পুরোনো রেকর্ড ভাঙে অরুণ লালের ছেলেরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮৬ রানের ইনিংস খেলেন সুদীপ ঘরামি, ১১৭ রান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। এছাড়া অন্যান্য ৭ ব্যাটসম্য়ান সকলেই অর্ধশতরান করেন। অভিষেক রমন ৬১, অভিমূণ্য ঈশ্বরণ ৬৫, মনোজ তিওয়রী ৭৩, অভিষেক পোড়েল ৬৮, শাহবাজ আহমেদ ৭৮, সায়ন মণ্ডল ৫৩ ও আকাশ দীপ ৫৩ রান করেন। ৭৭৩ রানে ৭ উইকেটে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে বাংলা।
প্রথম ইনিংসে বাংলার পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ঝাড়খণ্ড। যে উইকেটে বাংলার ব্য়াটাররা দাপট দেখায় সেখানেই ঝাড়খণ্ড ব্য়াটসম্য়ানদের সমস্যায় ফেলে বাংলার বোলাররা। একমাত্র বিরাট সিং লড়াই সেঞ্চুরি করেন। ঝাড়খণ্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৯৮ রানে। ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট সিং। বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট নেন সায়ন মণ্ডল ও শাহবাজ আহমেদ। প্রথম ইনিংসে ৪৭৫ রানের বিশাল লিড পায় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াট করতে নামা ছিল বাংলা দলের কাছে সেমির ব্য়াটিং অনুশীলন। সেখানে পঞ্চম দিনে ১৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মনোজ তিওয়ারি। ৪৬ করেন শাহবাজ আহমেদ, ৩৮ করেন অনুষ্টুপ মজুমদার, ৩৪ করেন অভিষের পোড়েল। সূচি অনুযায়ী প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সেমিফাইনালে যাওয়া দল শেষ চারের লড়াইয়ে নামবে চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ীর বিরুদ্ধে। সেই নিরিখে বাংলার সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ হবে মধ্যপ্রদেশ। দ্বিতীয় সেমি হবে মুম্বই ও উত্তর প্রদেশে মধ্যে।