সংক্ষিপ্ত

ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে সিরিজের আগে নিউজিল্যান্ড (Eng vs Nz ) দলে করোনার (coronavirus)থাবা। আক্রান্ত দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (Kane Williamson)। 

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ড দলকে। ১০ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় টেস্ট। আর কিছু সময়ের মধ্যেই বল গড়াতে চলেছে ট্রেন্ট ব্রিজে।  কিন্তু তার আগে জোর ধাক্কা খেতে হল কিউই শিবিরকে। করোনা আক্রান্ত হলেন  দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। যার কারণে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন কেন উইলিয়ামসন। ম্য়াচের আগে নিয়মমাফিক করোনা পরীক্ষা করা হয় সকল ক্রিকেটারদেরষ সেখানে জানা যায় রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে কিউই অধিনায়কের। উইলিয়ামসন করোনা আক্রান্ত হলেও দলের বাকিদের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে বলেই জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড। তবে দলের অধিনায়ক ও দলের ব্য়াটিং অর্ডারে মিডল অর্ডারে বড় ভরসার না থাকা সমস্যা আরও বাড়াল কিউইদের।

ইংল্য়ান্ড সফরে এর আগেও  নিউজিল্যান্ড দলে থাবা বসিয়েছিল করোনা। অনুশীলন ম্য়াচের সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন পেসার ব্লেয়ার টিকনার, ব্যাটসম্যান হেনরি নিকোলস। এবার সিরিজের মাঝে খোদ অধিনায়ক। কেন উইলিয়ানসনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর দলের তরফ থেকেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের দেশের সেরা ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসনের কোভিড টেস্ট পজেটিভ এসেছে। বৃহস্পতিবার সামান্য কিছু উপসর্গ লক্ষ করা যায় কেনের মধ্যে। নিয়ম অনুযায়ী আপাতত তাকে পাঁচ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে। তারপর ফের পরীক্ষা করা হবে। কেন উইলিয়ামসন না থাকায় টম লাথামকে দ্বিতীয় টেস্টের অধিনায়ক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। উইলিয়ামসনের জায়গায় দলে ঢুকবেন অভিজ্ঞ ওপেনার হামিশ রাদারফোর্ড। নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টেড বলেছেন, ‘এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের কেনের না খেলতে পারাটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা সকলে ওর যন্ত্রণমাটা বুঝতে পারছি। এবং জানি যে, ও কতটা হতাশ হয়ে রয়েছে।’

 

 

প্রসঙ্গত, এর আগে লর্ডসে প্রথম টেস্টে দুরন্ত জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ম্য়াচে প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন করেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্ববোচ্চ ৪টি করে উইকেট নেন জিমি অ্যান্ডারসন ও ম্য়াটি পটস। প্রথম ইনিংসে ব্য়াটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় ইংল্যান্ড দলও। ১৪১ রানে অলআউট হয়ে যায়  ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন জ্যাক ক্রাউলি। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন টিম সাউদি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৫ রান করে কিউইরা। সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন ডায়ার্ল মিচেল ও ৯৬ রান করেন টম ব্লান্ডেল। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও ম্য়টি পটস। ২৭৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে জো রুটের ১০৮ রানের অনবদ্য ইনিংস, বেন স্টোকসের ৫৪ ও বেন ফোকসের ৩২ রানের ইনিংসের সুবাদে ৫ উইকেটে জয় পায় ইংল্য়ান্ড। সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচে ইংল্য়ান্ডের কাছে সিরিজ জয়ের হাতছানি। অপরদিকে, কিউইদের কাছে ঘুড়ে দাঁড়ানোর লড়াই।