ভারতীয় ক্রিকেট তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম স্টাইলিশ প্লেয়ার বলা হত মহম্মদ আজাহারউদ্দিনকে। তার কব্জির মোচরে বল বাউন্ডারিতে পাঠানোর শিল্প এখনও অনেক ক্রিকেট প্রেমিদের হৃদয়ে মোচর দেয়। কিন্তু ১৯৯৯-২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যায় আজহারউদ্দিনের। গড়াপেটায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বিসিসিআই আজীবন নির্বাসনে পাঠায় ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু ১২ বছরেরও বেশি সময় আইনি লড়াইয়ের পর নির্দোষ প্রমাণিত হন আজহার। জীবনের সেই কঠিন সময় সম্পর্কে বলতে গিয়ে সম্প্রতি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক জানিয়েছেন কী কারণে তাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে তা আজও অজানা তার কাছে।
আরও পড়ুনঃআচমকাই নতুন কোচ ঘোষণা ইস্টবেঙ্গলের, সমর্থকদের মধ্যে জোড় জল্পনা
সম্প্রতি এক সোশ্যাল মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ড ও তার নির্বাসন নিয়ে আলোচনা ওঠে। তখন আজহার বলেন,'যা ঘটেছে তার জন্য আমি কাউকে দোষ দিতে চাই না। তবে আমাকে নিষিদ্ধ করার কারণ আমি আজও সত্যিই জানি না'। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আরও বলেন,'তবে আমি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং আমি কৃতজ্ঞ যে ১২ বছর পর আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি৷ তারপর হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি৷ তারপর পরে আমি বিসিসিআইয়ের এজিএম-এ যোগ দিয়ে আমি খুব সন্তুষ্ট বোধ করেছি।'
আরও পড়ুনঃরাফাল যুদ্ধবিমানকে দেশে স্বাগত জানালেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা
আরও পড়ুনঃভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক,অর্থাভাবে আজ রাস্তার ধারে বসে পাথর ভাঙছেন
দেশের হয়ে ৯৯টি টেস্ট ও ৩৩৪টি একদিনের ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজারের বেশি রানেরও মালিক আজাহার। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মনে করেন তাকে নির্বাসিত না করা হলে, তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার আরও কিছু সময় দীর্ঘায়িত হতে পারত। তবে আজ লসে সব অতীত। সেই অন্ধকার সময়ের কথা মনেও রাখতে চান না। প্লেয়ার হিসেবে না হলেও, ভারতীয় ক্রিকেটের মূল স্রোতে ফিরতে পেরে খুশি মহম্মদ আজহারউদ্দিন।