রনজি ট্রফির উইকেট নিয়ে আসেনি আলাদা নির্দেশ, চিন্তিত পিচ কিউরেটররা

  • সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে রনজি ট্রফি
  • উইকেট তৈরির কোনও গাইডলাইন পাঠায়নি বোর্ড
  • হোম টিমের চাপ চাপের মুখ পরতে হতে পারে 
  • গাইড লাইন না আসায় চিন্তিত পিচ কিউরেটররা

Prantik Deb | Published : Dec 8, 2019 9:28 AM IST

সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশের এক নম্বর ঘোরায় টুর্নামেন্ট রনজি ট্রফি। সোমবারই মাঠে নেমে পরছে ৩৬টি দল। দেশের ১৮টি মাঠে একই সঙ্গে শুরু হবে রনজি ট্রফির খেলা। কিন্তু শুরু আগে কিছুটা হলেও চাপে পরেছেন বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার পিচ কিউরেটররা। কারণ গত কয়েক বছরের মত এবার তাদের কাছে কোনও গাইড লাইন আসেনি।  গত কয়েক বছর থেকে বিবিসিআই উিকেট নিয়ে নির্দিষ্ট গাইড লাইন পাঠিয়ে দিত সংশ্লিষ্ট পিচ কিউরেটরদের কাছে। সেই মতই তৈরি হত উইকেট। হোম টিমের কোনও দাবি শোনা হত না। কিন্তু এবার সেটাই একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে এবার কোনও নির্দিষ্ট গাইড লাইন না থাকায় হোম টিম পছন্দ মত উইকেটের দাবি জানাতে পারে। এটাই বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে কিউরেটরদের কাছে। 

আরও পড়ুন - ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বিতে বর্ণ বৈষম্য মূলক কটুক্তির অভিযোগ, তদন্ত শুরু সিটি কতৃপক্ষের

এই বিষয়ে বোর্ডের প্রধনা কিউরেটর আশিস ভৌমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,‘আদালা করে কোনও গাইড লাইন পাঠানো না হলেও  প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলে স্পোর্টিং উইকেট তৈরির কথা বলা হয়েছে। যে উইকেট থেকে রেজাল্ট পাওয়া যাবে।’ আশিসের কথায়  এমন উইকেট তৈরি করতে বলা হয়েছে যেখানে প্রথম দুদিন পেস বোলাররা সাহায্য পাবেন। আর তৃতীয় দিন থেকে স্পিনার টার্ন পাবেন। গতবার যেমন গাইড লাইন পাঠানো হয়েছে, সেটাকেই এবারও অনুসরন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কিউরেটরদের চাপ একটা জায়গাতেই। রেজাল্ট পাওয়ার মত উইকেট বানাতে গিয়ে হোম টিমের চাপের মুখে পরতে হতে পারে। 

আরও পড়ুন - হ্যাটট্রিক করে ব্যালেন ডি’অর সেলিব্রেট করলেন মেসি, পেছনে ফেললেন রোনাল্ডোকে

বোর্ডের এক সিনিয়র পিচ কিউরেটর সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত বছর রনজি ট্রফি শুরু হওয়ার দিন ২০ আগে সব কিউরেটরদের নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ হয়েছিল। সেখানে অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়। ভিডিওর মাধ্যমে দেখানো হয়েছিল কী ভাবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় পিচ তৈরি হয়। কিন্তু এবার কোনও গাইডলাইন আসেনি। তবে মজার কথা হল, গত জুলাই মাসেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড পিচ তৈরির ওপর একটা সার্টিফিকেশেন কোর্স করিয়েছিল। সেখানে দেশের ২৬ জন কিউরেকর অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র পাঁচ জন পেয়েছিলেন এ গ্রেড সার্টিফিকেট। এমনকি উত্তর পূর্বের নতুন সদস্য সংস্থা গুলির জন্যও আলাদা করে ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছিল। এখন প্রশ্ন এরপরও কেন গাইড লাইন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রতিবছর কী গাইডস লাইন বদল হয়? 

আরও পড়ুন - দশ বছর পর টেস্ট দলে ডাক, পাক ক্রিকেটে নতুন নজির

Share this article
click me!