বয়স বাড়লেও তাদের ব্য়াটে যে এতটুকু জং ধরেনি তা আরও একবার প্রণাম করলেন সচিন তেণ্ডুলকর ও বীরেন্দ্র সেওয়াগ। ভারতীয় তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বিধ্বংসী ওপেনিং জুটির তাণ্ডব আরও একবার উপভোগ করল শনিবার রাতের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। ক্লাস ইস পারমানেন্ট আরও একবার দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। ২০১৩-এর নভেম্বরে এই ওয়াংখেড়ের ২২ গজকেই প্রণাম জানিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন লিটিল মাস্টার। মাঝে সাতটা বছর চলে গেলেও মাস্টার ব্লাস্টারের সেই একইরকম শট ও সেওয়াগের প্রতিপক্ষকে দুর্মূষ করা দেখে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন আট থেকে আশি। রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের উব্দোধনী ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ লেজেন্ডসকে ৭ উইকেটে পরাজিত করল ইন্ডিয়া লেজেন্ডস দল।
আরও পড়ুনঃনিরেপক্ষ ভেন্যুতে হতে পারে এশিয়া কাপ, পরোক্ষভাবে বিসিসিআইয়ের দাবি মানল পিসিবি
শনিবার কোণায় কোণায় পরিপূর্ণ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে জিতে ক্যারেবিয়ানদের ব্যটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান অধিনায়ক সচিন তেণ্ডুলকর। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। ক্যারেবিয়ানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন শিব নারায়ণ চন্দ্রপল। ৩২ রান করেন ডারেন গঙ্গা। ১৫ বলে ১৭ রান করেন ব্রায়ান লারা। ৪টি অনবদ্য চার দর্শকদের উপহার দেন ত্রিনিদাদের রাজপুত্র। বল হাতে দুটি করে উইকেট পান জাহির খান, মুনাফ প্যাটেল, প্রজ্ঞান ওঝারা। ইরফান পাঠান নেন একটি উইকেট।
আরও পড়ুনঃপ্রথমবার বিশ্বজয়, লক্ষ্যে স্থির ভারতীয় মহিলা দল
আরও পড়ুনঃঅবসর ঘোষণা রঞ্জিতে সর্বাধিক রানের মালিকের
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই স্বমহিমায় ব্যাট শুরু করেন সচিন-সেওয়াগ জুটি। ২৯ বলে ৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সচিন তেণ্ডুলকর। ৭টি চারে সাজানো তার এই ইনিংস। সেওয়াগের সঙ্গে ৮৩ রানের পার্টনারশিপ করেন মাস্টার ব্লাস্টার। অপরদিকে ৫৭ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। ১১টি চার মারেন বীরু। ব্যাট হাতে নেমে ঝলক দেখান যুবরাজ সিংও। ৭ বলে ১০ রান করেন যুবি। সংক্ষিপ্ত ইনিংসে একটি ছক্কাও মারেন তিনি। ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইন্ডিয়া লেজেন্ডস। ম্যান অব দি ম্যাচ হয়েছেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ।
ক্রিকেটের বাইরেও গোটা ম্যাচে বেশ কিছু সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরেন প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটাররা। শুধু দর্শকরাই নন নস্টালজিয়ায় ভাসলেন সচিন, সেওয়াগ, লারা, কার্ল হুপাররা। বিশেষ করে ওয়াংখেড়ে জুড়ে ফের সচিন সচিন ধ্বনি শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সচিন তেণ্ডুলকর।