রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে টস ভাগ্য সাথ দিল না বাংলার। রাজকোটে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন সৌরাষ্ট্র অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট। টসে জিতলে ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল বাংলা অধিনায়ক অভিমূন্য ঈশ্বরনেরও। যদিও টস ভাগ্যের উপর জোর না দিয়ে সৌরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার আকাশ দীপরা। বাংলার পেস অ্যাটাকের বিরুদ্ধে শুরু থেকে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন সৌরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানরা।
আরও পড়ুনঃদক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা, ফিরলেন হার্দিক, শিখর ও ভুবি
বাংলার পেস অ্যাটাক দুরন্ত ফর্মে থাকায় রাজকোটের উইকেট থেকে ছেটে ফেলা হয়েছে ঘাস। যদিও দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন খোদ সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট। এখনও পর্যন্ত রঞ্জি ট্রফিতে ৬৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। চলতি মরসুমের রঞ্জিতে সর্বাধিক উইকেট শিকারীও উনাদকাট। তারপরও ফাইনালে দলের ব্যাটসম্যানদের অ্যাডভান্টেজ দিতে পিচ থেক ঘাস কাটা হয়েছে। বিশেষ করে চেতেশ্বর পুজারার মত ব্যাটসম্যানদের কথা ভেবেই ঘাস কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। যদিও প্রথম দুদিন উইকেট থেকে সাহায্য পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ঈশান পোড়ে, মুকেশ কুমার ও আকাশদীপরা।
আরও পড়ুনঃপঞ্চমবার মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় অজিদের, অধরা ভারতের স্বপ্ন
আরও পড়ুনঃআইপিএল শুরুর আগেই ধাক্কা খেল দিল্লি, অদ্ভুত কারণ দেখিয়ে নাম তুললেন ওকস
ফাইনালের জন্য বাংলা দলে দুটি পরিবর্তনও করেছেন কোচ অরুণ লাল। এমনিতেই বাংলার ব্যাটিং টপ অর্ডারের ফর্ম নিয়ে চিন্তায় ছিল বেঙ্গল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। অভিষেক , অভিমুন্যদের অফ ফর্ম অব্যাহত। ধারাবাহিকভাবে রান পাচ্ছেন না মনোজ তিওয়ারির মত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানও। ফাইনালের মত ম্যাচে দলের ব্যাটসম্যানদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে ও বড় স্কোর গড়তে হবে। সেই কথা ভেবেই ফাইনালে অভিষেক রমনকে বসিয়ে সুদীপ ঘরামিকে দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। উইকেট রক্ষক শ্রীবৎস গোস্বামীর জায়গায় খেলছেন ঋদ্ধিমান সাাহা। এই দুই পরিবর্তন ছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে বাংলা দল। টস হারলেও এখন লক্ষ্য একটাই সৌরাষ্ট্রকে যতটা সম্ভব কম রানের মধ্যে অল আউট প্রথম ইনিংসে বড় রানের লিড নেওয়া। কারণ ফাইনাল জিততে হলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে প্রথম ইনিংসের লিড।