
ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) অভিজ্ঞ উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্য়ান তথা বাংলার ছেলে ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) আন্তর্জাতিক কেরিয়ার নিয়ে যে জল্পনা চলছিল তার অবসান হয় শনিবার। জল্পনা সত্যি করেই শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজ থেকে ভারতীয় দলের (Indian Test team) বাইরে রাখা হয় ঋদ্ধিমান সাহাকে। এর আগেই শোনা গিয়েছিল ঋদ্ধিমান সাহাকে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তার জন্য দলের দরজা বন্ধ। ঋদ্ধির পরিবর্তে নাকি কেএস ভরতকেই ঋষভ পন্থের পরিবর্ত হিসেবে ভাবছে নির্বাচকরা। যদিও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে এতদিন কিছুই বলেননি ঋদ্ধিও। তবে শনিবার ভারতীয় টিমে ঋদ্ধির নাম না থাকার পরই ঘরের ছেলের জন্য গর্জে উঠল বাংলা। অন্য়ায়ভাবে ঋদ্ধিমান সাহাকে বাদ দেওয়া হয়েছে এই দাবিতে জায়গায় জায়গায় চলল বিক্ষোভ।
"
ঋদ্ধিমান সাহা শিলিগুড়ির (Siliguri) ছেলে। শিলিগুড়ির অগ্রগামী সংঘে ক্রিকেট শিখে বড় হয়েছেন ঋদ্ধিমান (Wriddhiman Saha)। শিলিগুড়িতে পাপালি নামেই পরিচিত তিনি। ঋদ্ধির ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর প্রতিবাদে গর্জে উঠল শিলিগুড়িও। ঋদ্ধিকে এভাবে বাদ দেওয়া আর তার প্রতিবাদেই সামিল হল গেট বাজার ইয়ুথ ক্লাব। রবিবার ক্লাব প্রাঙ্গণে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্লাবের সদস্যরা। অবিলম্বে ঋদ্ধিকে দলে ফেরানোর দাবি তোলেন তারা। ক্লাবের সম্পাদক সঞ্জীব মাইতি বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তাকে দলে ফেরানো হক। পাশাপাশি শিলিগুড়ি ক্রিকেট লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনও প্রতিবাদ দেখায়। ঋদ্ধিকে বাদ দেওয়া মানে শিলিগুড়ি ও বাংলাকে অপমান করা বলে জানায় তারা। ঋদ্ধিমান সাহাকে সামনে রেখে শিলিগুড়ির ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ক্রিকেটে আকর্ষিত হচ্ছে বলেও জানান তারা। আগামি দিনেও এই প্রতিবাদ তলবে বলে জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
"
অপরদিকে, এতদিন নীরাবতা বজায় রাখলেও দল নির্বাচনের পর বোমা ফাটিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহাও। এতদিন সরকারি ঘোষণা না হওয়ায় তিনি যে অপেক্ষা করছিলেন শুনিবার ঋদ্ধির বক্তব্য থেকে তা পরিষ্কার। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণার পর ঋদ্ধিমান সাহা বলেন,‘দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময় রাহুল দ্রাবিড় আমাকে আকার-ইঙ্গিতে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।’ এর সঙ্গেই বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটার আরও বলেন, ‘নির্বাচক চেতন শর্মাও বলেছিলেন, আর তোমাকে ভারতীয় দলে নেওয়া হচ্ছে না ভবিষ্যতের জন্য।’তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘাড়ে ব্যথা নিয়েও ৬১ রান করার পর সৌরভের থেকে আশ্বাস পেয়েছিলেন বলেই দাবি করেন ঋদ্ধি। বলেন, ‘দাবি আমাকে বলেছিল, আমি যতদিন আছি, তোকে চিন্তা করতে হবে না। দাদির কথায় আমি উদ্দীপ্ত হয়েছিলাম। তবে কী এমন ঘটল যে পরের টেস্টেই আমাকে বাদ দেওয়া হল। হঠাৎ করেই কি আমার বয়সটা একটু বেশিই বেড়ে গেল। আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না।’যদিও ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা বলেছেন রঞ্জিতে ভালো পারফর্ম করলে তার দলে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাংলার ক্রিকেট প্রেমিরা ঋদ্ধির এই বাদ পড়া মেনে নিতে নারাজ।