সংক্ষিপ্ত

শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে টি২০ (T20) ও টেস্ট সিরিজের (Test Series) জন্য ভারতীয় ঘোষণা করল বিসিসিআই (BCCI)। টি২০ সিরিজে  দলে নেই বিরাট কোহলি (Virat Kohli)ও ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। এছাড়া টেস্ট দল থেকে বাদ পড়লেন চেতেশ্বর পুজারা (Cheteshwar Pujara),অজিঙ্কে রাহানে (Ajinkya Rahane), ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)।
 

জল্পনা আগে থেকেই ছিল। কবে সরকারি ঘোষণা ছিল না। শনিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতীয় টেস্ট দল ঘোষণার পর সব আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। ভারতীয় টেস্ট দল থেকে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাদ পড়েছেন বাংলার উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। তবে কী কারমে বাদ পড়লেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ৩৭ বছর বয়সটাই কী অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল ঋদ্ধির আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের পথে। না কি ফর্মের দোহাই দিয়ে বাদ দেওয়া হল ঋদ্ধিকে। সেই উত্তর জানার জন্য প্রতীক্ষায় ছিলেন সকলেই। দল নির্বাচনের পর মুখ খুললেন  ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। কিন্তু তার উত্তরও খুব একটা সন্তোষজনক নয়।

দল ঘোষণার পর সাংবাদির বৈঠকে চেতন শর্মা বলেন, 'ঋদ্ধিমানকে বাদ দেওয়ার পিছনে আলাদা করে কোনও কারণ নেই। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করেছি, আগামী দু’টি টেস্টে ওদের চারজনকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আমি নিজে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলে ওদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। এটাও বলেছি, রঞ্জিতে খেলুক ওরা। রঞ্জির পারফরম্যান্সকেই আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি।' ঋদ্ধি কেন রঞ্জি ট্রফিতে খেলছেন না সেই প্রশ্নের উত্তরে চেতন শর্মা বলেন,'কেন ঋদ্ধি রঞ্জিতে খেলবে না সেটা আমি নয়, বাংলা ক্রিকেট সংস্থাই বলতে পারবে। আমরা প্রত্যেককেই রঞ্জি খেলার কথা বলে থাকি। কিন্তু দিনের শেষে খেলার সিদ্ধান্ত সেই ক্রিকেটার এবং তার রাজ্য সংস্থার উপরেই থাকে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধু বয়সকেই আমরা প্রাধান্য দিই, তা নয়। কিন্তু এটাও ঠিক, নতুনদের সুযোগ দিতে হবে। যাদের বয়স হয়ে গিয়েছে, তাদের উচিত ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফরম্যান্স করে দলে সুযোগ পাওয়া। তাই জন্যেই আমরা বলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা অন্য কিছুতে ব্যস্ত না থাকলে রঞ্জি খেলা উচিত। তবে এই বাদ পড়া কেবলই দুটো ম্যাচের জন্যে। এর মাঝে ভাল খেললে পরে আবার জাতীয় দলের জন্য দরজা খুলে যেতে পারে।'

অপরদিকে, এতদিন নীরাবতা বজায় রাখলেও দল নির্বাচনের পর বোমা ফাটিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহাও। এতদিন সরকারি ঘোষণা না হওয়ায় তিনি যে অপেক্ষা করছিলেন শুনিবার ঋদ্ধির বক্তব্য থেকে তা পরিষ্কার।  শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণার পর ঋদ্ধিমান সাহা বলেন,‘দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময় রাহুল দ্রাবিড় আমাকে আকার-ইঙ্গিতে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।’ এর সঙ্গেই বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটার আরও বলেন, ‘নির্বাচক চেতন শর্মাও বলেছিলেন, আর তোমাকে ভারতীয় দলে নেওয়া হচ্ছে না ভবিষ্যতের জন্য।’তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘাড়ে ব্যথা নিয়েও ৬১ রান করার পর সৌরভের থেকে আশ্বাস পেয়েছিলেন বলেই দাবি করেন ঋদ্ধি। বলেন, ‘দাবি আমাকে বলেছিল, আমি যতদিন আছি, তোকে চিন্তা করতে হবে না। দাদির কথায় আমি উদ্দীপ্ত হয়েছিলাম। তবে কী এমন ঘটল যে পরের টেস্টেই আমাকে বাদ দেওয়া হল। হঠাৎ করেই কি আমার বয়সটা একটু বেশিই বেড়ে গেল। আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না।’

আরও পড়ুনঃসাদা বলের পর এবার লাল বলেও রোহিত রাজ, ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক হলেন 'শর্মাজি'

আরও পড়ুনঃশ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতীয় টেস্ট ও টি২০ দলে একাধিক পরিবর্তন, দেখে নিন সম্পূর্ণ স্কোয়াড

আরও পড়ুনঃভারতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ পুজারা-রাহানে-ঋদ্ধি, দরজা কী বন্ধ হল চিরতরে

ফলে ঋদ্ধির এই মন্তব্যের পর নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কারণ ঋদ্ধির বক্তব্য থেকে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কেন রাহুল দ্রাবিড় তাকে প্রকারন্তরে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেনষ চেতন শর্মাই বা কেন আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তার জন্য ভারতীয় দলের দরজা বন্ধ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সত্যিই কী ঋদ্ধিকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। ঋদ্ধি এত দিন চপু কেন ছিলেন। কোচ ও চেতন শর্মা প্রসঙ্গে ঋদ্ধির এহেন অভিযোগের সত্যতা কতটা। এই একাধিক প্রশ্নগুলি এখন ঘরপাক খাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটে। উত্তর পেতে অপেক্ষা ছাড়া কোনও গতি নেই।