চ্যালঞ্জ নিতে তিনি বরাবরই ভালবাসেন। কঠিন পরিস্থিতিতে হার না মানা মনোভাব ও ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বসাসের নামই যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় তা তিনি তার ক্রিকেট কেরিয়ারে বারবার প্রমাণ করেছেন। গ্রেগ চ্যাপেল জমানায় অধিনায়কত্ব হারানো ও দল থেকে বাদ পড়ার পর, লড়াই করে ফের ভারতীয় দলে ফিরেছিলেন বেহালার ডাকাবুকো ছেলেটা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌরভের প্রত্যাবর্তনকে অন্যতম সেরা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু দল থেকে বাদ পড়ার কষ্ট এখনও তাড়া করে বেড়ায় সৌরভকে। সুযোগ পেলে এখনও তিন মাস সময় পেলে ফের ব্যাট হাতে দেশের হয়ে রান করার ক্ষমতা তিনি রাখেন বলে জানালেন বাংলার মহারাজ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ২০০৮ সালে। আইপিএলকেও বিদায় জানিয়েছেন ৮ বছর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার বেদনার কথা বলতে গিয়ে সৌরভ জানিয়েছেন,প্রথমবার যখন চ্যাপেল কোচ থাকার সময় তিনি বাদ পড়েছিলেন সেটা তাঁকে কষ্ট দিয়েছিল। শুধু চ্যাপেল নয় অন্যরাও তাঁর এই ছাঁটাইয়ের নেপথ্যে ছিলেন, সেটা স্পষ্ট করে বলেছেন মহারাজ। তাঁর কথায় কেউই ধোয়া তুলসী পাতা নয়। অন্যদিকে তাঁকে যে কার্যত ২০০৮-এ অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছিল সেটাও বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সেই বছরে করা সত্ত্বেও তাঁকে প্রথমে ওডিআই ও পরে টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে এখনও সেই বিষয়টি তাঁকে পীড়া দেয়, সেটি স্পষ্ট।
আরও পড়ুনঃগ্রেগ ছাড়াও তার দল থেকে বাদ পড়ার পেছনে দায়ী ছিলেন অনেকেই,ফাঁস করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
এরপরই নিজের উপর বিশ্বাসের কথা শোনান সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এখনও যে সময় পেলে ব্যাট হাতে দেশের হয়ে রান করার ক্ষমতা তার রয়েছে, সেকথাও জানান বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।। কিছুটা আবেগের সঙ্গে মহারাজ বলেন, আমায় না খেলা তে পারো,কিন্তু আমার ভিতরের বিশ্বাসটা কাড়বে কী করে। তিনি বলেন তখন নাগপুরে অবসর না নিলে টেস্টে আরও রান করতে পারতেন তিনি। এখনও তিন মাস প্র্যাকটিস করার সুযোগ পেলে ও তিনটি রঞ্জি ম্যাচ খেলতে পারলে, ফের দেশের হয়ে টেস্টে রান করে দিতে পারবেন বলে মনে করেন বিসিসিআই সভাপতি। সৌরভের এই বক্তব্য থেকে প্রমাণিত কতটা আক্ষেপ রয়েছে বাধ্য হয়ে অবসর নেওয়ার পেছনে। আর সৌরভ ভক্তরা এই কথা শুনে বলেছেন একেই না বলে সত্যিকারের দাদাগিরি।