সংক্ষিপ্ত
- ইডেনকে আগেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে দেওয়ার কথা বলেছিলেন সৌরভ
- এতদিন প্রয়োজন না পড়ায় সেই সিদ্ধান্ত নেননি প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা
- এবার করোনা যুদ্ধে সামিল হতে চলেছে ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের ইডেন গার্ডেন্স
- এবার আগামী সপ্তাহ থেকে ইডেন গার্ডডেন্সও পরিণত হতে চলেছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে
রাজ্য জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। যা নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। হাসপাতালগুলিতে দেখা দিচ্ছে ধীরে ধীরে বেডের আকাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত হতে চলেছে ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন্স। করোনা প্রকোপ রাজ্যে বাড়ার সময় শুরুতেই বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে ইডেনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ছেড়ে দিতে কোনও আপত্তি নেই সিএবির। এবার সেই সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেললেন রাজ্যের পুলিস-প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুনঃগ্রেগ ছাড়াও তার দল থেকে বাদ পড়ার পেছনে দায়ী ছিলেন অনেকেই,ফাঁস করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
এতদিন তার প্রয়োজন না পড়লেও এবার কলকাতা পুলিশের তরফে সিএবির কাছ থেকে সাময়িকভাবে চেয়ে নেওয়া হল ইডেনের গ্যালারি। পুলিশ কর্মীদের জন্য তড়িঘড়ি সেখানে গড়ে উঠতে চলেছে অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। লালবাজারে সিএবি কর্তাদের সঙ্গে এই নিয়ে আপৎকালীন বৈঠকে বসেন পুলিশ কর্তারা। পরে যুগ্মভাবে পরিদর্শন করা হয় ইডেনের গ্যালারি। পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ইডেন পরিদর্শন করেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া ও সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। পরিদর্শনের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় E, F, G ও H ব্লকে গ্যালারির নিচের জায়গা পুলিশ কর্মীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। প্রয়োজনে J ব্লকের নিচের জায়গাও কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ২০২১ এ রাজ্যে বিজেপির মুখ কি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ডোনার বক্তব্য উস্কে দিল সেই জল্পনা
আরও পড়ুনঃকেন টিকল না কেকেআরে তার স্থায়ীত্ব,শাহরুখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সৌরভের
সিএবি-র অফিস ও সংলগ্ন গ্যালারির সঙ্গে কোয়রান্টিন সেন্টারের কোনও যোগাযোগ থাকবে না। একেবারে বিচ্ছিন্ন রাখা হবে ‘বি, সি, ডি, কে ও এল’ ব্লক। কারণ, অফিসের আশেপাশে নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করা হলে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বাড়তে পারে। বন্ধ রাখা হবে সদ্য গড়ে তোলা ইন্ডোর অনুশীলন কেন্দ্রও। কিন্তু যেই অর্ধে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে গোলা হচ্ছে সেখানেই থাকেন সিএবির মাঠের কর্মীরা। ফলে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাদের জন্য। সম্ভবত মাঠ কর্মীদের নিয়ে আসা হবে সিএবির ডর্মটারিতে। ফলে আগামী সপ্তাহ থেকেই যেখানে একসময় বিশ্ব তাবড় তাবড় প্লেয়াদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের দাপট দেখে উল্লসিত হত হাজার হাজর মানুষ, সেখানেই এবার করোনার বিরুদ্ধে চলবে জীবন যুদ্ধ।