
বিরাট কোহলি আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব নিয়ে কদিন ধরেই সরগরম গণমাধ্যম (Media) থেকে নেটদুনিয়া (Internet)। কেউ দাদার পক্ষ নিচ্ছেন তো কেউ কোহলির দলে। কারও মতে, দাদা ঠিক। তো কেউ বলছেন, চক্রান্ত করা হয়েছে বিরাটের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগেই একদিনের ক্রিকেটে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) জায়গায় রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিসিআই। এরপর থেকেই শুরু হল সমস্যার। শোনা যায়, টি-২০ (T-20) ক্রিকেট থেকে স্বেচ্ছায় সরে গেলেও ওডিআই-এর অধিনায়ক থাকতে চেয়েছিলেন বিরাট। তবে, কেন এমন হটকারিতার সিদ্ধান্ত নিল দল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এই নিয়ে হয়েছে জোড় বিতর্কও।
এদিকে, বিসিসিআই-এর পক্ষ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিসিসিআই-এর (BCCI) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাঁকে পদত্যাগ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু, বিরাট নাকি শোনেননি। এরপরই বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুরু হয় সমস্যা শুরু হয় বিরাটের। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিরাটকে টি-২০ অধিনায়কের পদ থেকে সরে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, বিরাট নিজেই সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।
একথা শুনে বিরাট চুপ থাকেননি। গণ মাধ্যমকে (Media) স্পষ্ট জানান, ‘বিসিসিআইকে আমি জানিয়েছিলাম টি-২০ অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাই। বোর্ড একথা মেনেও নিয়েছিলেন কেউই কোনও বাধা দেয়নি। আমাকে বলা হয়েছিল এটা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ। তখনই আমি জানিয়েছিলাম, যে একদিনের ক্রিকেট ও টেস্টে আমি অধিনায়কত্ব করব। কিন্তু, বোর্ড হয়তো অন্য ভাবে বিষয়টি বিচার করেছে।’
এ তো গেল পুরনো কথা। যখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ও বিরাট কোহলির (Virat Kohli) দ্বন্দ্ব তুঙ্গে তখনই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বললেন, বিরাট বড্ড ঝগড়া করে। ক্রিকট্র্যাকার নামক একটি ওয়েবসাইটে সৌরভের দেওয়া সাক্ষাৎকার সকলের নজড়ে এসেছে। সেখানে, তাঁকে প্রশ্ন করা হয় কোন ক্রিকেটারের আচরণ সব চেয়ে ভালো। উত্তরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কোহলির আচরণ ভালো লাগে। তবে, ও বড্ড ঝগড়া করে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কথাই ফের সরগরম করেছে, বিরাট-সৌরভের বিতর্ক। কেন সৌরভ বিরাট প্রসঙ্গে এমন কথা বললেন, তা প্রশ্ন তুলেছেন বিরাট ফ্যানেরা। অনেকেরই ধারণা, সৌরভের এই মন্তব্য প্রভাব ফেলবে বিরাট-সৌরভের সম্পর্কে। তবে, এই নিয়ে ফের কোনও বিতর্ক তৈরি হয় কি না, এখন তারই দেখার অপেক্ষা।