সংক্ষিপ্ত

অধিনায়কত্ব হারানোর পর থেকেই বিরাট কোহলির সমর্থনে নেটদুনিয়ায় শুরু হয়েছিল সমালোচনার ঝড়। বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে তুলনা ও করা হয়েছিল। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বদলে গেল চেহারা। বিরাট কোহলি নয়, এবার দাদার পাশে দাঁড়ালো দেশ। 'নেশন স্ট্যান্ডস উইথ দাদা' ট্যাগে ভরলো টুইটার। 
 

সময় যত এগোচ্ছে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বনাম বিসিসিআই (BCCI) বিতর্ক ক্রমেই অন্য রূপ নিচ্ছে। দুপক্ষই ইতিমধ্যে বিতর্কের বিষয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। তবে সুরাহা হয় নি কিছুই। বদলে আরও জটিল আকার ধারণ করেছে বিতর্ক। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) সাফ জানিয়েছেন এই বিষয়ে নতুন করে তার আর কিছু বলার নেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবার বোর্ড অর্থাৎ বিসিসিআই (BCCI) নেবে। পাশাপাশি বিরাট কোহলি (Virat Kohli) অধিনায়কত্ব হারানোর পর নেটদুনিয়ার এক বড় অংশের সমর্থন ছিল বিরাটের (Virat Kohli) দিকে এবং কাঠগড়ায় ছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (BCCI President Sourav Ganguly)। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবার বদলে গেল সমর্থনের রূপ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সমর্থনে এগিয়ে এলেন মানুষ। 

 

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগেই বিরাট কোহলির (Virat Kohli) জায়গায় রোহিত শর্মাকে (Rohit sharma) একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক হিসাবে বেছে নেয় বিসিসিআই (BCCI)। একটি টুইটের মাধ্যমে সে কথা জানায় বোর্ড। বিষয়টিকে একেবারেই ভালো চোখে নেন নিন বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সমর্থকরা।  নেটিজেনদের একাংশের দাবি ছিল 'এইভাবে ভারতীয় দলের অধিনায়ককে তাঁর পদ থেকে সরানো উচিত হয় নি। একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসাবে ভারতীয় দলকে এতদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন বিরাট (Virat Kohli) । আর একটু সম্মানজনকভাবে বিদায় হয় তো বিরাটের (Virat Kohli) প্রাপ্য ছিল।' একইসঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি তারা। গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে তুলনা করা হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly)। 

আরও পড়ুন- Virat Press Conference: 'টি-২০ ছাড়া নিয়ে কেউ বাঁধা দেয় নি' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবিকে নাকচ করলেন বিরাট কোহলি

চুপ থাকেন নি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) টি-২০এর অধিনায়কের পদ থেকে সরে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু বিরাট (Virat Kohli) নিজেই সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। দুটি সাদা বলের ফর্ম্যাটে একটি দলে দুজন অধিনায়ক থাকলে সমস্যা বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেই জন্যই বিরাট কোহলিকে  (Virat Kohli) সরিয়ে রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) অধিনায়ক করা হয়েছে।' এরপর থেকেই অনেকের ধারণা বদলাতে শুরু করে। কেউ কেউ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে শুরু করেন। 

আরও পড়ুন- Virat Kohli Vs BCCI: বিরাট বিতর্কে মুখ খুললেন সৌরভ, কী বললেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট

অবশেষে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে নিজের বক্তব্য পেশ করেন বিরাট কোহলি  (Virat Kohli)। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly)  মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে বিরাট জানান, 'টি-২০ ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময় তাঁকে কোনওরকম বাধা দেওয়া হয় নি। বদলে বিরাট (Virat Kohli) দাবি করেন যে, তাঁর সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলেই গ্রহণ করেছিল বোর্ড। নাম না করেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly) একপ্রকার মিথ্যাবাদী বলে দাবি করেছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। এবার কোহলির সাংবাদিক বৈঠকের দু'দিন পরেই রাতারাতি বদলে গেল নেটদুনিয়ার সমর্থন। 

 

শুক্রবার সকাল থেকেই টুইটারে পাতায় চোখ রাখকে একটু ট্যাগ চোখে পড়ছে তা হল, 'নেশন স্ট্যান্ডস উইথ দাদা' (Nation Stands With Dada) অর্থাৎ 'দাদার পাশে দেশ।' ইতিমধ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সমর্থনে হাজার হাজার পোস্ট হয়েছে এই হ্যাশট্যাগে। এখন প্রশ্ন হল এত সমর্থন পেয়েও সাংবাদিক বৈঠকের পর হঠাৎ করে কী করে তা হারাচ্ছেন বিরাট (Virat Kohli)? এই প্রসঙ্গে কেউ কেউ মনে করছেন, প্রকাশ্যে বোর্ডের বিরুদ্ধে এই ধরণের মন্তব্যকে অনেকেই ভালো চোখ দেখেন নি।  অনেকের ধারণা ক্ষমতা হারিয়ে বদলা নেওয়ার জন্য এই ধরণের মন্তব্য করেছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)।  যার ফলে অনুরাগীদের কাছে সম্ভবত তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।  

আরও পড়ুন- Sourav Ganguly: 'আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছিলাম', বিরাট ইস্যুতে মুখ খুলবেন সৌরভ