শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় টেস্টে একটি নজির গড়লেন পাকিস্তানের চার ব্যাটসম্যান। করাচিতে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকেই এল শতরান। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন শান মাসুদ ও আবিদ আলি। দুজনেই শতরান করলেন। মাসুদ করলেন ১৩৫ রান। আবিদ আলির সংগ্রহ ১৭৪ রান। তিন নম্বের ব্যাট করতে নেমে ১১৮ রানের ইনিংস খেললেন পাক অধিনায়ক আজহার আলি। এরপর চার নম্বরে নামা বাবর আজম অপরাজিত ১০০ রানে ইনিংস খেললেন। একই ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের শতরান করার নজির টেস্ট ক্রিকেট খুব একটা নেই। এটা দ্বিতীয় ঘটনা। প্রথম এই নজির গড়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
আরও পড়ুন - সব বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া যাবে না, আইপিএল পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি
২০০৭ সালে ভারতের বাংলাদেশ সফরে প্রথম কোনও দল হিসেবে এই কৃতিত্ব গড়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সেবার টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিক ও ওয়াসিম জাফর। কার্তিক করেছেন ১২৯ রান। টেস্ট ক্রিকেটে এই একটিঅ শতরান ছিল তার। অসুস্থ হয়ে ক্রিজ ছাড়ার আগে আরেক ভারতীয় ওপেনার ওয়াসিম জাফর করেছিলেন ১৩৮ রান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শতরান করেছিলেন অধিনায়ক রাহুল দ্রাবি়ড়। তাঁর সংগ্রহ ছিল ১২৯ রান। আর সচিনের ব্যাট থেকে এসেছিলেন অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের দাপুটে শতরানে ভর করে বাংলাদেশের মাঠে সেবার টাইগারদের ইনিংসে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন - মানসিক চাপ থেকে মুক্তি চাই, ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্ট কালের ছুটিতে বিড়লা পুত্র আর্যমান
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও প্রথম চার পাক ব্যাটসম্যানের শতরানে ভর করে ম্যাচ জয়ের পথে পাকিস্তান। পাশাপাশি রবিবার শতরান করে বাবর আজম বিরাট কোহলিকে একটু পেছনে ফেলে দিলেন। ২০১৯ সালে কোহলি ও বাবর দুজনই খেলেছে ১১টি ইনিংস। বাবর আজম করেছেন ৬১৬ রান। গড় ৬৮.৪৪। অন্যদিকে ১১ ইনিংসে বিরাট করেছেন ৬১২ রান। গড় ৬৮.০০। বিরাটের থেকে চার রানে এগিয়ে থেকে ২০১৯ বছরটা শেষ করতে চলেছেন বাবর। আর এই পরিসংখ্যানে ভর করে পাক মিডিয়া কোহলিকে খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন - ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল, ফ্ল্যামিঙ্গোকে হারিয়ে বিশ্বসেরা ক্লপের দল