সংক্ষিপ্ত
- মানসিক চাপ আর নিতে পারছেন না
- ক্রিকেট থেকে তাই ছুটিতে আর্যমান বিড়লা
- শিল্পপতি কুমার মঙ্গলম বিড়লার ছেলে আর্যমান
- এবারের নিলানে কোনও দলে জায়গা পাননি তিনি
কিছুদিন আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছিল মানসিক চাপ থেকে মুক্তি চান। তাই ক্রিকেট থেকে কিছুদিনের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের এই সিদ্ধান্তে ক্রিকেট বিশ্বে বেশ হৈচৈ শুরু হয়েছিল। অনেকই ম্যাক্সিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। ম্যাক্সওয়েলের পর আরও এক অজি ক্রিকেটের একই কারণে ছুটি নিয়েছিলেন। ম্যাক্সওয়েল এখন ফিরে এসেছেন ক্রিকেটে। বৃহস্পতিবার তাঁকে বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে কিনেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে জমাটি পারফর্ম করেছেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু ম্যাক্সির ক্রিকেটে এই প্রত্যাবর্তনের সময়ই আরও এক ক্রিকেটার ক্রিকেট থেকে বিশ্রামের পথে। আর এই ঘটনা এবার ভারতীয় ক্রিকেটে।
আরও পড়ুন - এনসিএ’কে সঠিক পথে নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ সৌরভ-রাহুলদের সামনে
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন আর্যমান বিড়লা। আর সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, মানসিক উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে তিনি ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে যাচ্ছেন। আর্যমান দেশের অন্যতম বড় শিল্পপতি কুমার মঙ্গলম বিড়ডলার ছেলে। গত দু’বছর রাজস্থান রয়্যালসের অংশ ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার তাঁকে আর কোনও আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজি দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখায়নি। এতেই যেনও আরও হতাশা গ্রাস করেছে আর্যমানকে। তাই কিছুদিন ক্রিকেট থেকে দুরে থাকতে চাইছেন এই তরুণ। তবে আরও দাপট নিয়ে ফিরে আসার কথাও দেখা যাচ্ছে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে।
আরও পড়ুন - সান্টা ক্লজ বিরাট কোহলি, বাচ্চাদের মুখে ফোটালেন হাসি
আর্যমান মুম্বইয়ের ছেলে। কিন্তু নিজের ক্রিকেটার সত্বাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চলে আসেন মধ্যপ্রদেশে। সেখানে চার বছর জুনিয়র ক্রিকেট খেলার পর মধ্যপ্রদেশ রঞ্জি দলে সুযোগ পান তিনি। কলকাতার ইডেনে প্রথম রঞ্জি সেঞ্চুরি এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। তারপর বেশ ভালই এগোচ্ছিল তাঁর কেরিয়ার। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চোটের জন্য ছিটকে যেতে হয় আর্যমানকে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আর্যমান লিখেছেন, তাঁর সব থেকে বড় সমস্যা ছিল, নিজের পরিচয় তৈরি করা। কারণ কেরিয়ারের শুরু থেকে তাঁর দিকে সবাই তাকাতো বিড়লা পরিবারের ছেলে হিসেবে। কিন্তু আর্যমান নিজের পরিচয় গড়তে চেয়েছিলেন। ইডেনে সেঞ্চুরি তাঁকে সেই পরিচয় গড়তে সাহয্য করেছে। আর পাঁচজন সাধারণ ছেলের মত তিনিও একজন। সবার মধ্যে নিজের এই পরিচয় তৈরি করতে পেরেছেন এটাই যেন সব থেকে স্বস্তিু দিয়েছে আর্যমানকে। বাবা ও পরিবারের পরিচয় ছেড়ে যেমন নিজের পরিচয় তৈরি করতে পেরেছেন, তেমনই মানসিক উদ্বেগের সমস্যা কাটিয়ে আবার ক্রিকেটে ফিরে আসতে পারবে আর্যমান। এমনই আশা ক্রিকেট মহলের।
আরও পড়ুন - ২০১৯ সালের এক নম্বর সেলেব বিরাট কোহলি, হারালেন সলমন-অক্ষয়দের