করোনার জের, প্রশ্নের মুখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ

  • করোনা ভাইরাসের জেরে স্তব্ধ ২২ গজ
  • প্রশ্নের মুখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকপের ভবিষ্যৎ
  • প্রশ্নে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজও
  • পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় দুই বোর্ড
     

Sudip Paul | Published : Mar 30, 2020 3:30 PM IST

বিশ্ব জুড়ে অব্যাহত করোনা ভাইরাসের থাবা। যার জেরে ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কোভিড ১৯ ভাইরাসের জেরে স্তব্ধ ক্রীড়া বিশ্বও। বন্ধ ক্রিকেট, ফুটবল থেকে সমস্ত স্পোর্টিং ইভেন্ট। চলতি বছরে ক্রিকেট প্রেমীরা যে কয়েকটি টুর্নামেন্টের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তা হল আইপিএল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। আইপিএলের ভবিষ্য আপাতত বিশ বাঁও দলে। এবার সংশয় তৈরি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ভারতের অজি সফর নিয়েও। কারণ মারণ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ইতমধ্যেই ৪ হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। যার ফলেই তৈরী হয়েছে সংশয়।

আরও পড়ুনঃঘোষিত হল অলিম্পিকের নতুন সময়সূচি, শুরু পরের বছর ২৩ জুলাই, শেষ ৮ অগাস্ট

করোনা জেরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতই বন্ধ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়য় আন্তর্জাতিক বিমাান পরিষেবা। অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত কত দিন বন্ধ থাকে, তার উপরে নির্ভর করে আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য। অস্ট্রেলীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, বিদেশিদের অস্ট্রেলিয়ায় আসার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তা ছ’মাস কী তার বেশিও থাকতে পারে। সেটা হলে পিছিয়ে দিতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পিছিয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের টেস্ট সিরিজিও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু ১৮ অক্টোবর। ভারত তার আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একটি ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতা খেলবে। বিশ্বকাপ শেষে আছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বহু প্রতীক্ষিত টেস্ট সিরিজ। অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত যদি ছ’মাস বন্ধ থাকে, তা হলে অক্টোবরের আগে কোনও বিদেশি ডন ব্র্যাডম্যানের দেশে ঢুকতে পারবেন না। ফলে সব কিছুই এখন অনিশ্চয়তার মোড়কে ঢাকা। সে ক্ষেত্রে অল্প ক’দিনের মধ্যে কী করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আয়োজন সুষ্ঠু ভাবে করা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।  

আরওব পড়ুনঃকরোনার জেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন ইসিবি, কোপ পড়তে পারে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের বেতনে

আরও পড়ুনঃটেনিস থেকে বিশ্রাম, করোনা যুদ্ধে দরীদ্রদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন কেটি সোয়ান

যদিও ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দুই দেশেরই বোর্ড কর্তাদের আশা ৬ মাসের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ক্রিকেট প্রেমীরা বঞ্চিত হবেন না রোমাঞ্চকর সব সিরিজ থেকে। সিরিজ না হলে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। ফলে ভাগ্যের উপর ভরসা করা ছাড়াও এখনও আর কোনও উপায়ই নেয ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের।


 

Share this article
click me!