করোনা আবহের মধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে ফিরেছে ফুটবল। তবে এখনও শুরু হয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে অনুশীলনে নেমে পড়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা সহ বেশ কয়েকটি দেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু করোনা পরবর্তী ক্রিকেটের রীপ কী হতে চলেছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলেই। একাধিক নিয়মে বদল, তারসঙ্গে মানিয়ে নেওয়া,সম্পূর্ণ অন্ন পরিস্থিতি,পরিবেশে ক্রিকেট খেলা সবকিছুই ভাবাচ্ছে ক্রিকেটারদের। এই নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। তিনিও বলছেন,ক্রিকেট শুরু হলে তা কতটা বদলে যাবে জানা নেই। ফলে বেশ উদ্বিগ্ন রয়েছেন বিরাট কোহলিও।
আরও পড়ুনঃ'কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে,মেসেজ সরিয়ে নিয়েছি',ধোনির অবসর প্রসঙ্গে বললেন সাক্ষী
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে অশ্বিনের সঙ্গে আড্ডায় বসেছিলেন কোহলি। সেখানে অশ্বিন জানতে চেয়েছিলেন করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটে কতটা পরিবর্তন আসতে পারে। বিরাট কোহলি জবাব দেন,'আমি বুঝতেই পারছি না কী হতে চলেছে। আমরা তো প্র্যাক্টিসেও হাই ফাইভ করি, পিঠ চাপড়ে দিই, হাততালি দিই। সেগুলো করতে পারব না! কত দিন পরে সবার সঙ্গে দেখা হবে। আর আমরা কী করব? হাতজোড় করে নমস্কার করে একে অন্যের থেকে দূরে থাকব। আমাদের কাছে সবই এখন অদ্ভুত লাগছে। তবে অন্য সব কিছুর মতোই এগুলোও ধীরে ধীরে আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠবে।'
আরও পড়ুনঃধোনির এমন স্টাইল ছিল না পসন্দ, প্রত্যাখানের কথাও ভেবেছিলেন সাক্ষী
আরও পড়ুনঃলকডাউনে মাহির রোজনামচা জানালেন মিসেস ধোনি
ম্যাচ তো পরের কথা অনুশীলনে নামার ক্ষেত্রেও একাধিক নির্দেশ দিয়েছে আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, ট্রেনিংয়ের সময় একজন মেডিক্যাল বা স্বাস্থ্য অফিসারকে নিয়োগ করা উচিত। যিনি দেখবেন, সরকারি নির্দেশ মেনে অনুশীলন করা হচ্ছে কি না। এ ছাড়া ম্যাচের আগে নিভৃতে প্রস্তুতি শিবিরের আয়োজন, ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য এবং শরীরের তাপমাত্রার উপরে নিয়মিত নজর রাখা, বিদেশ সফরের অন্তত ১৪ দিন আগে করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা করতে হবে।ব্যবহারের আগে ও পরে নিজের ব্যক্তিগত ক্রিকেট সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করতে হবে। আম্পায়ারদের থেকে ক্রিকেটারদের একটা নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকতে হবে। তা ছাড়া নিজের সোয়েটার, সানগ্লাস, টুপি, রুমাল অন্য কারও হাতে দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া বলে থুতু লাগানোর নিষেধাজ্ঞা তো আছেই। এই সবকিছু নিয়েই বেশ চিন্তিত ভারত অধিনায়ক। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাবাবিক হবে বলেও আশাবাদী বিরাট কোহলি।