জিতে ফিরলেন আবু হেনা রনি। মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখে ফের জীবনপুরের পথিক। রনির জয়ের ছবি ভাগ করে নিলেন মীর আফসার আলি।
আবু হেনা রনি। এখনও সারা গায়ের পুড়ে যাওয়ার ক্ষত। এখনও হাতে ব্যান্ডেজ। তার উপরেই নতুন চামড়া গজাচ্ছে। এত কিছু নিয়ে অনাবিল হাসছেন বাংলাদেশের কৌতুকশিল্পী। ঠিক আগের মতোই। ‘মীরাক্কেল’ রিয়্যালিটি শো-তে ‘দিনের সেরা’ হওয়ার পরে যেমন হাসতেন। রনির অনুরাগীদের দাবি, তখনকার হাসির থেকে এখনকার হাসির জৌলুস নাকি আরও বেশি। কারণ? তিনি মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখে আবার জীবনে ফিরেছেন! এ বারেও তিনিই জিতে গেলেন।
রনির এই জয়ের হাসি বড্ড ছোঁয়াচে! সেই আগে যেমন প্রতিটি রসিকতার পরে নিজে হেসে সবাইকে হাসাতেন। সেই অভ্যেস বুঝি রয়েই গিয়েছে তাঁর? রনির হাসিমুখ যদি ও পার বাংলার উৎসবের কারণ হয় তা হলে এ পার বাংলায় উদযাপন। যুদ্ধজয়ের চিহ্ন হিসেবে তাঁর একটি ছবি রবিবার বিকেলে নিজের সামাজিক পাতায় ভাগ করে নেন মীর আফসার আলি। তার পর থেকে তাঁর সামাজিক পাতায় উদযাপনের বানভাসি। অসংখ্য অনুরাগী আন্তরিক ভাবে দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তাঁর।
আপ্লুত মীর নিজেও। রনি তাঁর প্রিয় শিল্পীদের অন্যতম। ছবির সঙ্গে রনির উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘অনেক দিন পরে কোনও রবিবার এত ভাল কাটল’। মীরের পাশাপাশি এ দিন রনিও তাঁর সুস্থতার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর সামাজিক পাতায়। ‘আলহাম্দুলিল্লাহ, অনেকটা ভাল এখন॥ আকাশ দেখছি হাসপাতালে বসে। চারপাশের সুন্দর মানুষদের দোয়ায় এবং চেষ্টায় সুন্দর হয়ে উঠছে আমার চারিদিক। আপনাদের কথা কখনও যেন ভুলে না যাই। ভালবাসা সবার জন্য’— সবাইকে জানিয়েছেন। ক্যালেন্ডারের হিসেব অনুযায়ী কাঁটায় কাঁটায় এক মাস। ঢাকার গাজিপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার ফেটে ভয়ঙ্কর ভাবে পুড়ে যান রনি। ঝলসে গিয়েছিল শরীরের প্রায় ৩৫ শতাংশ।
বাংলাদেশের রনি কলকাতাতেও সমান জনপ্রিয় মীরের ‘মীরাক্কেল’-এর দৌলতে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই মীর তাই সবার আগে পোস্ট করেন ফেসবুকে। লেখেন, ‘আবু হেনা রনি নিজেই আগুন। ওকে পোড়ায় কার সাধ্য?’ উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন শো-এর আরও এক বিচারক শ্রীলেখা মিত্রও। রনির সুস্থ হয়ে ওঠার খবরে তাই অনেকটাই আশ্বস্ত দুই বাংলার মানুষ। তাঁদের সেই আনন্দ বার্তায় প্রকাশিত, “আপনার জন্য অন্তর থেকে দোয়া।”