
অরিজিৎ সিং রবীন্দ্র সংগীত গাইতে ৩ কোটি চাইলে ৩ কোটি। কদিন আগে একটি খবরে চোখ আটকায় সকলের। যেখানে দেখা যায়, গায়ক মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিম অভিযোগ করেছেন, একটি হিন্দি রবীন্দ্রসংগীত গাইতে যে পরিমাণ পারিশ্রমিত অরিজিৎ সিং-র তরফ থেকে চাওয়া হয়েছে, তা নাকি ভাবতেই পারছেন না তিনি।
মুম্বইয়ের এক নাম করা সংস্থার তরফে রবীন্দ্রসঙ্গীতের একটি হিন্দি অ্যালবাম বের করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর রবি ঠাকুরের গান গাওয়ার অফার দেওয়া হচ্ছে বাঙালি শিল্পীদের। সেই অ্যালবামের জন্যই অরিজিৎ সিং-র কাছে একটি একক এবং একটি দ্বৈত গান গাওয়ার অফার গিয়েছিল। আর অরিজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে। এরপরই অরিজিতের ম্যানেজারের তরফে নাকি জানানো হয়, গান প্রতি দেড় কোটি টাকা পারিশ্রমিক চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দুটো গান গাইতে তিন কোটি।
এই খবর ভাইরাল হতেই মন্তব্য করলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলে, অরিজিৎকে খুব সাদামাটা বলেই জানি। সেরকমই জীবনযাপনে অভ্যস্তও। সেদিক থেকে বাঙালি হিসেবে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার জন্য ওঁর দেড় কোটি টাকা পারিশ্রমিক চাওয়া, আমার কাছে অনুচিত বলেই মনে হয়েছে। যখন আমরা সকলেই তুলনামূলক কম পারিশ্রমিকে কাজ করছি।
এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবুল সুপ্রিয়কে তুলোধনা করল অরিজিৎ ভক্তরা। একজন লেখেন, রবীন্দ্রনাথের গান গাইতে গেলেই বিনে পয়সায় গাইতে হবে এমন কথা কোথায় লেখা আছে আমি জানি না। অনেক পরিশ্রম করে অরিজিৎ সিং এই জায়গায় পৌঁছেছে। ওর সাধারণ জীবন যাপনের সঙ্গে কোটি টাকার পারিশ্রমিক কোনও ভাব যুক্ত নয়। বেশ করেছে তিন কোটি টাকা চেয়েছে। যেদেশে সঙ্গীত জগতের পরিকাঠামো এত নড়বড়ে, সেই দেশে একজন আন্তর্জাতিক মানের শিল্পী তার কন্ঠের ন্যায্য মূল্য চেয়েছেন। বাবুল সুপ্রিয় দেখলাম ইন্টারভিউতে বলেছেন, অরিজিতের এত সাদামাটা জীবনযাত্রার জন্য তিন কোটি পরিশ্রমিক দাবি অন্যায়।