তরণ এও জানিয়েছেন, চার মুখ্য অভিনেতার দাবি, ‘এ ছবি সব ছবির ‘বাপ’!’ সঞ্জয় দত্ত তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘শ্যুট ধামাল দোস্তি বেমিসাল!’
অবশেষে বলিউডের ঘুম ভাঙল? বাংলার মতোই হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে মায়ানগরীও, অ্যাকশন-বাণিজ্যধর্মী ছবি বিনে বাণিজ্য নাই! বেশি শিক্ষিত ছবি ‘মাস’-এর জন্য নয়। ‘ক্লাস’ ছবি পুরস্কার এনে দেয় ঠিকই। কিন্তু বাণিজ্যে পিছিয়ে। ফলে, দক্ষিণ পুরনো মদ নতুন বোতলে পরিবেশন করে সফল। আর বলিউডে ‘ত্রাহি মধুসূদন’ রব! খবর, সমানে সমানে যাতে টক্কর হয় তার জন্যই হিন্দি ছবিতে ফের অ্যাকশন ফিরছে। বিবেক চৌহানের নাম না হওয়া আগামি ছবিতে এক জোট আট আর নয়ের দশক। বড় পর্দায় বিস্ফোরণ ঘটাতে আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী, জ্যাকি শ্রফ, সঞ্জয় দত্ত, সানি দেওল। এই চার মূর্তিই ‘অ্যাকশন হিরো’ হিসেবে একটা সময় দর্শকদের রাতের ঘুম কেড়েছিলেন।
বলিউডের পালাবদলের প্রথম খবর যথারীতি বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শের সোশ্যাল মিডিয়ায়। চার মূর্তির নতুন ছবির প্রথম পোস্টার বুধবার তিনি সামনে এনেছেন। চার অভিনেতার সাজসজ্জা, শরীরী ভাষা বলে দিচ্ছে— তাঁরা ফের অ্যাকশনের জন্য তৈরি। যৌথ প্রযোজনায় জি স্টুডিয়ো এবং আহমেদ খান, সায়রা আগমেদ খান। তরণ এও জানিয়েছেন, চার মুখ্য অভিনেতার দাবি, ‘এ ছবি সব ছবির ‘বাপ’!’ সঞ্জয় দত্ত তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘শ্যুট ধামাল দোস্তি বেমিসাল!’ অর্থাৎ, পর্দায় আবার আগের মতো মারকাটারি অ্যাকশন আর বন্ধুত্বের অটুট বন্ধন নিয়ে আসছেন বিবেক।
সম্প্রতি ‘কাশ্মীর ফাইলস’-এর জন্য মিঠুন চক্রবর্তী, ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’-এর জন্য সঞ্জয় দত্ত চর্চায়। মিঠুন পাশাপাশি বাংলা ছবিতেও চুটিয়ে অভিনয় করছেন। অভিজিৎ সেনের ‘প্রজাপতি’তে তিনি ৩০ বছর পরে ফের জুটি বেঁধেছেন মমতা শঙ্করের সঙ্গে। তুলনায় বড় পর্দায় কম দেখা যাচ্ছে সানি দেওল, জ্যাকি শ্রফকে। যদিও বিবেকের ছবিতে তাঁদের ‘লুক’ বলছে, পুরনো অবতারে ফেরার জন্য চার জনেই মুখিয়ে। প্রত্যেকের মাথায় হয় টুপি নয় ব্যান্ডানা। কপালে তিলক। জ্যাকির গা থেকে রক্ত ঝরছে। চার জনের পোশাকেই নয়ের দশকের ছাপ স্পষ্ট। জ্যাকি যেমন, নয়ের দশকের জনপ্রিয় লুকে এই পোস্টারে ধরা দিয়েছেন। সেই সময়েও তাঁর গলায় স্কার্ফ দেখা যেত। সানির লম্বা দাড়ি, লম্বা চুল। মিঠুন চক্রবর্তী পুরোপুরি ‘সল্ট অ্যান্ড মরিচ’ লুকে।
আরও খবর, এই ছবি দিয়ে হিন্দি ছবি পরিচালনায় হাতেখড়ি হচ্ছে বিবেকের। এর আগে তিনি বিভিন্ন রিয়্যালিটি শো এবং ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’-এর মতো ছবির সহকারী ছিলেন। চার ডাকসাইটে অভিনেতাও এর আগে এক সঙ্গে পর্দা ভাগ করেননি। জ্যাকি শ্রফ, সঞ্জয় দত্তকে দেখা গিয়েছিল সুভাষ ঘাইয়ের ব্লকবাস্টার ছবি ‘খলনায়ক’-এ। নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। জ্যাকি, সানি দেওল জুটি বেঁধেছেন ‘বর্ডার’, ‘ত্রিদেব’, ‘দুশমনি’ ছবিতে। সঞ্জয়-সানি একজোট ‘যোধা’, ‘ক্ষত্রিয়’, ‘ক্রোধ’-এর মতো অ্যাকশনধর্মী ছবিতে। সঞ্জয়-মিঠুন পর্দা ভাগ করেছেন ‘লাক’, ‘ইলাকা’-য়।