"মাঝ রাস্তায় আমার গলা চেপে ধরে" ভর দপুরে ভয়ঙ্কর ভাবে আক্রান্ত মোহর-দুর্নিবার! কলকাতার রাস্তায় এ কী ঘটল? চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের

Published : Aug 18, 2024, 01:24 PM IST
Mohar

সংক্ষিপ্ত

"মাঝ রাস্তায় আমার গলা চেপে ধরে" ভর দপুরে ভয়ঙ্কর ভাবে আক্রান্ত মোহর-দুর্নিবার! কলকাতার রাস্তায় এ কী ঘটল? চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের

কলকাতার রাস্তায় চরম বিপাকে পড়লেন গায়ক দুর্নিবার সাহা ও তাঁর স্ত্রী মোহর। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সহায়ক হলেন মোহর। ভরদুপুরে রাস্তায় নাকি মোহর-দুর্নিবারের উপর চড়াও হয় একদল লোক। শুধু তাই নয়, দুর্নিবারের গলা চেপে ধরেন তারা। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল নিজেই জানান দুর্নিবার।

ঠিক কী বলেছেন গায়ক? নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এটি পোস্ট শেয়ার করেন গায়ক। যেখানে বলা হয়েছে "আমি দুর্নিবার, আমার সঙ্গে আছে মোহর। আমাদের সঙ্গে ঠিক এক ঘণ্টা আগে ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড, নেতাজীনগর থানার মধ্যে পড়ে একটা জায়গা। নাকতলার ভিতরে একটা রাস্তায় মোড়ে খুব খারাপ একটা ঘটনা ঘটে। আমরা আমাদের সারমেয়কে নিয়ে গ্রুমিং সেন্টারে যাচ্ছিল। যেহেতু একটা সময়ের বিষয় ছিল। ওরা রাস্তায় কাজ করছিল। দুপুর বেলা ৩টের সময়। অথচ কোথাও কোনও স্টপ সাইন নেই। রোড ব্লকেজ নেই। এটা কনট্রাক্টরের দায়িত্ব। যদিও তিনি এখানে ছিলেন না। আমরা ৫-৬বার হর্ন দেওয়ার পড়ে গাড়ির কাচ নামিয়ে বলি, এটা দুপুরবেলা, রাস্তা ঠিক করার সময় নয়। সরে যান গাড়িটা যেতে দিন। তখনই তাঁরা তেড়ে আসেন।

গায়ক আরও জানান,"আমি তখন ওদের সঙ্গে কথা বলার জন্য গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হই। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ওরা আমার গলা চেপে ধরে (গলার দাগ দেখিয়ে)। আমার গলায় ভীষণ ব্যাথা, এখনও ঢোঁক গিলতে পারছি না। আমার হাতেও দাগ দেখতে পাবেন। নিজে বাঁচতে আমিও হামলাকারীদের একজনের গলা ধরি। তখন ওঁরা ৩-৪জন মিলে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার উল্টোদিকে নিয়ে যান। মোহর তখনও নামেনি, ও বেগতিক দেখে নামে। ও যখন নামে তখনও আমার একজন গলা চেপে ধরে আছে, হাত ধরে আছে। যাতে আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর মোহরকে সেখান থেকে আমি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে ও সাহসের সঙ্গে বলে, যদি পারেন তো আমার গায়ে হাত দিয়ে দেখান। আমি ওর প্রতি কৃতজ্ঞ। ওকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এরপরে ঘটনাস্থলে থাকা একজন মহিলা মোহরকে ধাক্কা দেয়। মোহরের তাতে হাতে ব্যাথা লাগে। তখন রাস্তায় লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তখন ভর দুপুরবেলা। ওরা একটা ডাল নিয়ে আমার উপর তেড়ে আসে। তাতে হাতের চামড়া উঠে গেছে। হয়ত শারীরিকভাবে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। তবে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। আমি সকলকে অনুরোধ করব, যাঁদের চোখে মুখে অশিক্ষার ছাপ আছে, তাঁদের থেকে দূরে থাকবেন।" এ ছাড়াও দুর্নিবার জানান, "যাঁরা রাস্তায় কাজ করছিলেন, তাঁরা কিন্তু কোনও মিস্ত্রী নন, স্থানীয় বাসিন্দা।"

ভিডিওতে মুখ খুলেছেন মোহরও। তিনি জানিয়েছেন, "এত কিছুর পরে বলব, কিছু ভালো মানুষ হয়ত আছে। ওই যে ভদ্রলোক, আমাকে দেখে কাঁদতে শুরু করেছিলেন। বলেন, মা তুমি গাড়িতে গিয়ে বসো, চতুর্দিকে যা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না কেন হচ্ছে, তুমি প্লিজ গাড়িতে বসো। তবে হ্য়াঁ, আমরা সত্যিই খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কলকাতা, কলকাতার বাইরে সব জায়গায় হয়ত। আমিও এখনও বিষয়টা থেকে বের হতে পারছি না।ভর দুপুর বেলা! কী বলব লোককে কেউ কখনও বাইরে বের হবেন না!"

PREV
click me!

Recommended Stories

যুবভারতীতে বিক্ষোভের মাঝেই মেসির সঙ্গে ছবি পোস্ট শুভশ্রীর, ক্ষুব্ধ নেটজনতা
রাত তিনটে পর্যন্ত পার্টি, শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের সঙ্গে ছবি পোস্ট করলেন তৃণা, কী কথা হল?