
ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে কর্তব্যরত চিকিৎসককে হেনস্তার ঘটনায় শুরু হল তদন্ত। শুক্রবার পুলিশকে ই মেল করা হয় হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে মেল করা হয়েছিল। মেল পাওয়ার পর কলকাতা পুলিশ কমিশনার ডিসি সেন্ট্রালের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করেন প্রোগ্রেসিভ হেলফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি আগেও জানান, যা হয়েছে তা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ঘটেছে ঘটনাটি। শাশুড়িকে চিকিৎসা করাতে ট্রপিক্যালে যান কাঞ্চন। বিধায়কের দাবি করেন, বাকি রোগীদের বাদ দিয়ে তাঁর শাশুড়িকে আগে দেখে দিতে হবে। ডাক্তার জানিয়েছিলেন, সেই সময় একজন শিশুকে তিনি দেখছেন। তাই কাঞ্চনকে অপেক্ষা করতে বলেন। চিকিৎসক বলেন, রোগীকে দেখা হলে কাঞ্চনের শাশুড়িকে দেখে দেবেন। অভিযোগ, এতেই চটে যান বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। ডাক্তারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। বদলির হুমকি দেওয়া হয়। অনেকে বলছেন, সে সময় হাতাহাতিও হয়েছে। এই ঘটনা দেখে আউটডোরে থাকা অন্য রোগীরা প্রতিবাদ জানান। রোগীদের পরিজনদের প্রতিবাদ দেখে ট্রপিক্যাল ছাড়েন কাঞ্চন ও তাঁর পরিবারে। সেদিন সঙ্গে ছিলেন কাঞ্চনের স্ত্রী শ্রীময়ীও।
এই ঘটনার পর সিনিয়র রেসিডেন্ট স্কুল অব ট্রপিক্যালের প্রণিত রায় বলেছিলেন, ‘ওরা স্যারকে চাপ দেন। এক্ষুণি দেখে দিতে হবে বারবার বলতে থাকেন। তারপর স্যার না শুনলে তাঁকে বলেন আপনার নাম কী? রেজিস্ট্রেশন নম্বর কী? আপনাকে ট্রান্সফার করে দেব বলে হুমকি দেন। এই ঘটনায় স্যার দুঃখ পেয়েছেন।’
তবে, কাঞ্চন এই ঘটনা অস্বীকার করেছে। ঘটনার পর পরই কাঞ্চন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি কোনও দুর্ব্যবহার করিনি। এই ঘটনায় খারাপ লেগেছ। আমি লিখিত অভিযোগ করেছি। উনি কেন রেগেছেন আমি বুঝিনি। তবে ওঁর ব্যবহার খারাপ লেগেছে। ওঁর রোগী এসেছিলেন… আমি বুঝলাম না কেন রেগে গিয়েছে। একজন চিকিৎসকের সঙ্গে এমন কথা বলা যায় না।’