
ফের বিপাকে বাংলাদেশের সঙ্গে এ রাজ্যের সম্পর্ক। এবার মমতা সরকারের পাশে দাঁড়াল কেন্দ্র।
বাংলাদেশে ভাঙা হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হতেই ইউনূস সরকারকে বার্তা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করা হল যে তার যেন এই ঐতিহাসিক বাড়ি না ভাঙেন। জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সাহায্য করবে ভারত।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় হরিকিশোর রায় রোডে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা তথা সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি ছিল। এই বাড়িটি বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে, ইউনূস সরকার বর্তমানে তা ভাঙার কাজ শুরু করেছে। সেই কাজ বন্ধের বার্তা দিল মমতা সরকার। আর এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরব হতেই পাশে দাঁড়াল কেন্দ্রীয় সরকার।
হাসিনা সরকারের পতন ও মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই ওপার বাংলায় সাহিত্যিক থেকে সঙ্গীতশিল্পী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িঘর হামলার মুখে পড়েছে। মাস খানেক আগেই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িও ভাঙার মুখে।
ভারত সরকারের তরফে এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যোগকে উল্লেখ করে বলা হয় যেন এই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়। তার বদলে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে সাহিত্যের মিউজিয়াম গড়ার প্রস্তাহ দেওয়া হয়েছে। যা দুই দেশের সংস্কৃতিক মেলবন্ধনকেই তুলে ধরবে। ভারত সরকারের তরফে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে সংস্কারের কাজে সহযোগিতা করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার শিশু বিষয়ক আধিকারিক মহম্মদ মেহেদি জামান বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টারকে বলেন যে বিগত ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িটি যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। তিনি জানান, এক জায়গায় সেমি কংক্রিটের একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে।