‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রশ্ন তুলতে চলেছে, বছরের পর বছর ধরে এই ঘটনা ঘটছে। কেরল সরকার কি জেগে ঘুমাচ্ছে?
একটা রাজ্যের ৩২ হাজার মহিলা নিখোঁজ! কারওর কোনও মাথাব্যথা আছে? প্রশাসন বা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কথা জানা নেই। তবে পরিচালক সুদীপ্ত সেনকে বিষয়টি ভাবিয়েছে। ফলাফল, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র মতো ছবি। এমন ভয়ঙ্কর কাহিনীর নেপথ্য কাহিনী নাকি আরও ভয়ঙ্কর! ছবি বানাতে গিয়ে পরিচালক জেনেছেন, এত সংখ্যক মহিলাকে স্রেফ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নানা সময়ে! কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানেন? সিরিয়া, আফগানিস্তানে। সেখানে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। আইসিস জঙ্গি বানানো হয়েছে সবাইকে! এই ছবিই প্রশ্ন তুলতে চলেছে, বছরের পর বছর ধরে এই ঘটনা ঘটছে। কেরল সরকার কি জেগে ঘুমাচ্ছে?
এমন জ্বলন্ত ইস্যু পর্দায় দেখানো বিপদজনক। নিজেদের প্রাণ বাঁচে বেশির ভাগ প্রযোজক বা পরিচালক মূল গল্প থেকে সরে আসবেন। ব্যতিক্রম প্রযোজক বিপুল অম্রুতলাল শাহ, পরিচালক সুদীপ্ত। তাঁরা কিন্তু ভয় পাননি। মূল গল্প থেকে সরেও আসেননি। বরং প্রযোজকের দাবি, চার বছর ধরে খুঁটিয়ে গবেষণা চলেছে। তার পরে এই ছবিটি বানিয়েছেন তাঁরা। যাতে চিত্রনাট্যে কোনও ফাঁক না থাকে। তার ফলেই ছবির প্রতিটি দৃশ্য মেয়েদের চোখের জল, হিংস্র জঙ্গিবাদ আর নারকীয় অত্যাচারে মাখামাখি। বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে ছবির টিজার। প্রযোজকের দাবি, প্রথম ঝলকেই সেই বীভৎসতা দেখতে পাবেন দর্শক। তাই টিজার প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছেন সবাই। যেখানে দেখানো হয়েছে, নার্স হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে যে মেয়েটি বাড়ির বাইরে পা রেখেছিল তাকে কী ভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এখন সে আইসিস জঙ্গি! আফগানিস্তানের কারাগারে বন্দি। এই ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আদাহ শর্মা।
ছবি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিপুল এর আগে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নিখোঁজ মেয়েদের জীবন-কাহিনী শুনতে শুনতে কেঁদে ফেলেছিলেন। কত স্বপ্ন নিয়ে মেয়েরা কাউকে বিশ্বাস করে। সেই বিশ্বাস ভাঙতে বিশ্বাসঘাতকদের একটুও সময় লাগে না! এ ভাবেই ২০০৯ থেকে কেরল এবং ম্যাঙ্গালোর থেকে প্রচুর হিন্দু এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নারী ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছেন। যার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ পেতে সুদীপ্ত কেরল রাজ্যে গিয়েছিলেন। এমনকী পা রেখেছিলেন আরব দেশগুলিতেও। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। কথা বলেছেন। এবং সব জেনেশুনে হতবাক হয়েছেন। তার পর? এরই কিছুটা ধরা পড়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র টিজার। পুরোটা জানা যাবে নতুন বছরে।