এবার বনির হয়ে সওয়াল করলেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বনিকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি, এখনও পর্যন্ত ওর মধ্যে কোনও অস্বচ্ছতা দেখিনি। জয়জিতের এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে টলিপাড়ায়।
টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই ইডি-র মুখোমুখি দুবার যেতে হয়েছে তাকে। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘাঁটতেই টলি অভিনেতা বনির নাম উঠে এসেছে। কুন্তলের সঙ্গে বনির আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে। ২০১৭ সালে কুন্তলের সঙ্গে বনির পরিচয় হয়। কুন্তলের একাধিক অনুষ্ঠান করেছেন বনি। এবং কুন্তলও তাই দাবি করেছেন। বনি জানিয়েছেন,কুন্তলের প্রযোজনায় অভিনয়ের জন্য নগদ কোনও টাকা না নিলেও পাঁচ বছর আগে একটি গাড়ি কিনতে কুন্তল ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিল। সেই সূত্রেই টাকার লেনদেন হয়। যার বিনিময়ে কুন্তলের একাধিক অনুষ্ঠান করে দিয়েছেন বনি। এবং কুন্তলের একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হাজিরার পারিশ্রমিক হিসেবেই সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেন বনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কটাক্ষের মুখে পড়েছেন অভিনেতা।
বনি যেই গাড়ি কিনেছিলেন তার সমস্ত নথি ইডি-র দফতরে জমা দিতে বলা হয়েছে। দিনকয়েক আগেই দু-দফায় বনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তখনই জানা গিয়েছিল কুন্তলের সঙ্গে তার যোগাযোগের কাহিনি। তদন্তকারীদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, কুন্তল যে টাকা দিয়ে বনিকে গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন, অভিনেতা নাকি তা ইডি-কে ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ইডির দফতর থেকে বেরোতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিনেতা। সেখানেই তিনি বলেন, আমি ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো। এতগুলো বছরে খেটে পরিশ্রম করে আমি এই পারিশ্রমিক অর্জন করেছি। তাই সেটা নিয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। আর নিজেকে ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো বলতেই ব্যাপক ভাবে ট্রোলড হন নায়ক। তারপর থেকেই চলছে সমালোচনা। নেটিজেনদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন তবে কি ৪০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে কুন্তল তাকে দিয়েছিলেন, নাকি একটি ছবির জন্য ৪০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নেন বনি সেনগুপ্ত, উঠে আসছে নানা প্রশ্ন।
ইতিমধ্যেই বনির বিরুদ্ধে অনেকেই সরব হয়েছেন। কিছুদিন আগেই নাম না নিয়ে বনিকে খোঁচা দেন অঙ্কিতা চক্রবর্তী। বরং বাদ যাননি শ্রীলেখা মিত্র ও রানা সরকার। তারা অভিনেতার বিরুদ্ধে সরব হন। তবে এবার বনির হয়ে সওয়াল করলেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে জয়জিৎ বলেন, আমরা শিল্পী, কাজ করি, এবং তার বিনিময়ে পারিশ্রমিক পাই। জিএসটি কেটে যেটা হয় সেটা আমাদের অ্যাকাউন্টে চলে আসে। আর যদি কখনও মাচা শো করি তাহলে তার জন্য আর্টিস্ট কো অর্ডিনেটর থাকে। ওরাই সবটা দেখে নেন। যার ফলে খুব সহজেই জানা যায় না, যে আয়োজকদের কাছে কোথা থেকে কীভাবে টাকা আসছে। যেমন ধরুন, যারা চাকরি করেন তারা কি জানতে পারেন, কোম্পানির টাকা কোথা থেকে আসছে। এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তাই। তবে তিনি বনিকে নিয়ে আরও বলেন, বনিকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি, এখনও পর্যন্ত ওর মধ্যে কোনও অস্বচ্ছতা দেখিনি। জয়জিতের এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে টলিপাড়ায়।