বলেন, তাঁদের অগ্রগতি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সবাই মিলে প্রচেষ্টা করব যাতে হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করা যায়।
আবু ধাবি-তে চলছে আইফা অ্যাওয়ার্ড সেরেমানি। শুরুর দিনে হল দক্ষিণের চার ইন্ডাস্ট্রির উদযাপন। আর দ্বিতীয় দিনে ছিল বলিউডের অ্যাওয়ার্ড নাইট। তামিল, তেলুগু ভাষা মতো আঞ্চলিক ছবির ইন্ডাস্ট্রির উদযাপন হল অথচ বাংলা নেই। এই আসরে বাংলা তথা বাঙালির প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন টোটা রায় চৌধুরী। করণ জোহরের রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনিতে আলিয়া ভাটের বাবার চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয়ের সুবাদে সেরা সহ- অভিনেতা হিসেবে মনোনীত ছিলেন টোটা। তবে, পুরস্কার হাতে ওঠেনি। এদিনের টোটার এক সাক্ষাৎকার ভাইরাল হল নেট দুনিয়ায়।
এদিন বাংলা ছবির হৃত গৌরব নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আইআইএফএ তো দক্ষিণের চার ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অ্যাওয়ার্ড করছে। এক সময় এই হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিকে বাঙালিরাই পথ দেখিয়েছিল। এখন হিন্দি কোনও সুদূরে এগিয়ে গেছে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সদস্য হয়ে আফসোস হট না কেন আইআইএফএ বাংলা ছবি নিয়ে কোনও অ্যাওয়ার্ড শো করে না? উত্তরে তিনি বলেন, তাঁদের অগ্রগতি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সবাই মিলে প্রচেষ্টা করব যাতে হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করা যায়।
এই নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করেন টোটা। তিনি লেখেন, রাতে ফিরে ডিনারের পর পায়চারি করতে করতে প্রশ্নটা ভাবালো। সত্যিই তো, একটা সময় আমরাই পথপ্রদর্শক ছিলাম। রায়, সেন, ঘটকদের কথা ছেড়েই দিলাম। অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের নিশিপদ্ম বা অগ্রদূত এর ছদ্মবেশীর মতো অনেক বাংলা ছবির হিন্দি রিমেক এক সময় ভারত কাঁপিয়েছে। এক দশ আগেও ঋতুদার, ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবিগুলো বহু ভাষাভাষী দর্শক দেখতে এবং সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতেন। কোথায় আমাদের ত্রুটিবিচ্যুতি হল বা কি করে পূর্বস্থান পুনর্দখল করতে পারি তা নিয়ে আত্মবিশ্লেষণ ও আত্মসমালোচনার আশু প্রয়োজন। কবে ঘি খেয়েছি বা ঘি চপচপে পোলাও বিতরণ করেছি সেটা বারংবার বমন করে বাকিদের বিরক্তির ও করুণার পাত্র হয়ে এক ইঞ্চিও অগ্রগতি হব না।