টলিউডে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর ফেডারেশনের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গেলে ফেডারেশনের কথায় চলতে হবে। তা না হলে কেরিয়ার সেখানেই শেষ, এমনই মনে করেন অধিকাংশ।
সদ্য টলিউডের এক কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টার কথা সকলের জানা। এবার এই নিয়ে প্রকাশ্যে এল এক বিশেষ তথ্য। প্রকাশ্যে এল এক চিঠি। অবাধ্য কলাকুশলীদের পথে আনতে হুমকি পদ্ধতির নমুনা হিসেবে সামনে এসেছে এই চিঠি।
ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, কেশসজ্জা শিল্পীদের গিল্ড (সিনে অ্যান্ড ভিডিও হেয়ার স্টাইলিস্ট অ্যাসোসিয়েশন)-র কমিটিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে ভোট হোক, এই দাবি তুলেছিলেন কয়েকজন কেশসজ্জা শিল্পী। এতে গিল্ডের বিরাগভাজনের পাত্র হন তাঁরা। তাঁদের আচরণের কারণ দর্শাতে বলে গিল্ড। তাঁদের সাংগঠনিক ভাবে করা সকল প্রকার কাজ থেকে কর্মবিরতিতেও যেতে বাধ্য করা হয় হবে অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজন কেশসজ্জা শিল্পী এর পরে কার্যত বিনা কাজে, বিনা রোজগারে থাকতে বাধ্য হচ্ছিলেন। যিনি আত্মহননের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ, তিনি এরপর একটি কাজ পেলেও গিল্ডের বাধায় তা করতে পারছিলেন না। তাতে চরম হতাশার শিকার হন। জানা গিয়েছ, এমন অবস্থা আরও কয়েকজনের। ক্ষমা চেয়েও নিস্তার পায়নি তারা।
প্রকাশ্যে আসা চিঠিতে দেখা গিয়েছে, কেশসজ্জা গিল্ডের এক কর্ত্রী চন্দ্রা মিত্র নামের এক কেশসজ্জা শিল্পীকে লিখছেন, ক্ষমা চাওয়ায় সংগঠনের কাজে যোগ দিতে পারবেন চন্দা। কিন্তু, নিজে কোনও কাজ ধরে করতে পারবেন না।
এদিকে আবার ফেডারেশন কর্তা স্বরূপ বিশ্বাস অবশ্য বার বার হুমকি রীতি চলানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। টলিউডের ভিতরের এই অবস্থার কথা অস্বীকার করেছেন। প্রকাশ্যে আসা এই চিঠি প্রসঙ্গেও কোনও মন্তব্য করেননি।
এদিকে শুধুমাত্র একজন তৃণমূল নেতা হওয়ার সুবাদে স্বরূপ বিশ্বাস কীভাবে কলাকুশলীদের ফেডারেশনের সভাপতি পদে বহাল থাকতে পারেন, তা নিয়ে শনিবার চলচ্চিত্র জগতের এক প্রবীণ পরিচালক হিসেবে প্রশ্ন তোলেন অপর্ণা সেন।