মডেল অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুতে এবার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিদিশার বন্ধুর চ্যাটে ফাঁস হল গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি যার ফলে ঘটনার মোড় নিচ্ছে একেবারে অন্য দিকে। এবার সরাসরি সন্দেহের নিশানায় প্রেমিক অনুভব।
বুধবার নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে মডেল অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ। বিদিশার সহকর্মী থেকে প্রতিবেশী সকলের মতেই খুব প্রাণোচ্ছল মেয়ে ছিলেন বিদিশা। ছোটবেলা থেকে সৃজনশীল কাজের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল। মডেলিং দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই বেশ নাম করতে শুরু করেছিলেন বিদিশা। মডেল অভিনেত্রীর সহকর্মীদের মতে, 'খুব ভাল কাজ করছিলেন বিদিশা, তাঁর কাজ ছিল অন্যদের থেকে অনেকটাই আলাদা, এত নিখুঁতভাবে তিনি ফটোশ্যুটের কাজ করতেন যে ফটোগ্রাফাররা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক ও থাকতেন।'
তবে কেরিয়ারে সফলতার মুখ দেখেও ঠিক কেন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন বিদিশা তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এরই মাঝে বিদিশার এক বান্ধবীর চ্যাট ঘিরে তৈরি হয়েছে তুমুল শোরগোল। বিদিশার ওই বান্ধবীর নাম দিয়া দাস। বান্ধবী দিয়া জানিয়েছেন বিদিশার এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ও তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিল। ঠিক কেন মন খারাপ, পৃথিবীর মায়া কেন ত্যাগ করতে চান বিদিশা এই সংক্রান্ত একাধিক কথা হয় তাঁদের মধ্যে। এবার বন্ধুর মৃত্যুতে বিদিশার সঙ্গে হওয়া সেই চ্যাটই প্রকাশ্যে এনেছেন দিয়া।
আরও পড়ুন- বিদিশা কি উভকামী? কাকে ডাকতেন 'বৌ' বলে? ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
আরও পড়ুন- একাধিকবার সম্পর্কে ভাঙন বিদিশার- প্রেমের ব্যর্থতাই কি আত্মহত্যার মূল কারণ?
বিদিশার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে সরাসরি প্রেমিক অনুভবকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন দিয়া। উল্লিখিত চ্যাটে দেখা যাচ্ছে বিদিশা লিখেছেন, 'আমি বাঁচতে পারব না অনুভবকে ছাড়া। আমি সত্যি চলে যাব সব ছেড়ে, খুব ভালোবাসি ভাই। ও একটুও বোঝে না। খুব কষ্ট হচ্ছে রে দিয়া। আমি ওকে খুব ভালোবাসি। বাই এনি চান্স আমার কিছু হয়ে গেলে ওকে বলিস, খুব ভালবাসতাম। ওকে কারও সঙ্গে দেখতে পারতাম না। ও শুধু আমারই। আমি জীবনে শুধুই ওকে চাইতাম।'
এই প্রসঙ্গে দিয়া জানান, 'বিদিশা আমাকে প্রায়ই বলত ও অনুভবকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। কিন্তু ছেলেটার একাধিক বান্ধবী রয়েছে। বিদিশার আত্মহত্যার পরও আমি ছেলেটাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করছিলাম, তুমি কি আসবে না অনুভবদা? ও তখন জানায়, না, আমি এত দূর থেকে যেতে পারব না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এখানে সবাই নৈহাটি, টালিগঞ্জ, নিউটাউন থেকে চলে আসছে আর তুমি আসতে পারবে না? ও স্পষ্ট জানায় না। আমি তখন ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ও কখনও বিদিশাকে ভালোবেসেছিল কি না? তখন ও বলে, আমি তো ওকে কোনও দিন বলিনি, আই লাভ ইউ। আমি তখন পাল্টা জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আই লাভ ইউ না হয় বলোনি, কিন্তু রাত তো কাটিয়েছ। ও তখন বলে, আমি তো জোর করে কিছু করিনি। ও আমার সঙ্গে করেছে। এগুলো কোনও কথা হল! এদিকে ছেলেটা ওকে বলত, আমি তোমাকে ভালবাসি, কিন্তু কোনও দিন বিয়ে করতে পারব না।' বন্ধুর মৃত্যুতে প্রেমিক অনুভবের প্রতি রাগে ফেটে পড়েছেন দিয়া।